বুদ্ধিজীবী দিবসে জাতিকে পুরোপুরি কলঙ্কমুক্ত করার শপথ
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, চট্টগ্রাম
প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার
প্রতীকী বঙ্গবন্ধুর পাশে প্রতীকী রাইফেল হাতে পাহারা দিচ্ছে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা। বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা বুকে ও পিঠে মৌলবাদ বিরোধী শ্লোগান লিখে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আরেকবার বাঙালি জাতিকে পুরোপুরি কলঙ্কমুক্ত করার শপথ নিয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের তাদের সন্তানরা।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামের ফয়েজ লেক বধ্যভূমিতে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি এ ব্যতিক্রম কর্মসূচির আয়োজন করে। যেকোনো মূল্যে দেশ থেকে স্বাধীনতা বিরোধী ও উগ্র মৌলবাদীদের পুরোপুরি প্রতিহত করার শপথও নেন তারা।
গায়ে প্রতিবাদী শ্লোগান লিখে সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান জয়নুদ্দিন জয়, আসাদুজ্জামান জিসান, মনি আহমেদ বিজয়, কাওসার চৌধুরী, জুনায়েন আহমেদ, মাসুম করিম,রাব্বি হোসেন জিসান, মো. হৃদয়।
মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক শাহেদ মুরাদ সাকুর সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেলের পরিচালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগর ইউনিট কমান্ডার মোজাফফর আহমদ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চট্টগ্রাম মহানগরের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী ছৈয়দ, সহকারী কমান্ডার সাধন চন্দ্র বিশ্বাস, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. বেনু কুমার দে, পদার্থ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. শ্যামল রন্জন চক্রবর্তী, কম্পিউটার সায়ন্স এন্ড ইন্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড.খায়রুল ইসলাম। প্রধান বক্তা ছিলেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও চট্টগ্রাম মহানগর যুব লীগের যুগ্ম আহবায়ক ফরিদ মাহমুদ।
প্রধান অতিথি কমান্ডার মোজাফফর আহমদ বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তে অর্জিত বাংলা কারো দানে পাওয়া নয়। লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে পেয়েছি এ দেশ। দেশটি ছোট্ট হলেও প্রতি বর্গকিলোমিটার অর্জিত হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রক্তের বিনিময়ে। পাকিস্তানি হানাদাররা ১৯৭১ সালে চালিয়েছিল নারকীয় ও শতাব্দীর ঘৃণ্যতম হত্যাযজ্ঞ। বাঙালির চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের দেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামসের সদস্যরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিধনে মাঠে নামে। তারা বেছে বেছে অসংখ্য শিক্ষাবিদ, গবেষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, কবি ও সাহিত্যিকদের হত্যা করে।
সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল লতিফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেলিম উল্লাহ, বীর মুক্তিযোদ্ধা কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো সরওয়ার আলম চৌধুরী মনি, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক তাসলিমা আক্তার বাঁধন, রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মরিয়ম ইসলাম লিজা, মহানগর যুব লীগের সদস্য শেখ নাছির আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন দেলু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সদস্য মনোয়ার জাহান মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কাজী মুহাম্মাদ রাজিশ ইমরান, কামরুল হুদা পাভেল, রিপন চৌধুরী, সৈয়দ মইনুল আলম সৌরভ, কামাল হোসেন টিটু, মাসুদ করিম, নাসির খান,কৃষ্ণ চৌধুরী, বিবি হাসনাত।