করোনায় শিশুর মানসিক চাপ: আপনি কীভাবে সাহায্য করবেন
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার আপডেট: ১১:৩৪ পিএম, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০ সোমবার
মানুষের জীবনে সবচেয়ে আনন্দময় সময় হলো বাল্যকাল। এসময় থাকে না কোন চাপ, কোন দুশ্চিন্তা। হেসে-খেলেই পার হয়ে যায় সময়। কিন্তু করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সাথে সাথে অনেক শিশুর জীবনই এখন সম্পূর্ণভাবে চার দেয়ালে বন্দি। বিশেষজ্ঞরাও বলছেন এই সময়ে শিশুর মানসিক পরিবর্তন লক্ষ্য করছেন পরিবারের সদস্যরা। বাইরে ভাইরাসের ভয় আর দীর্ঘদিন ঘর বন্দি থেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে অনেক শিশু। মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ প্রভিশ গওর বলছেন, এমন অবস্থার কারণে শিশুর মধ্যে জেদ, বিরক্তি, ভয় ও হতাশা কাজ করছে।
কেন মানসিক চাপে পড়ছে শিশুরা
করোনার আগে শিশুরা নিয়মিত স্কুলে যেতো, বাইরে খেলতো কিংবা বন্ধুদের সাথে দেখা করতে যেতো। কিন্তু বর্তমানে তাদের জীবন একই বৃত্তে বন্দি। মাসের পর মাস তারা কথাও বলছে একই মানুষের সাথে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে আপনার শিশুর আচরণ ভাল করে লক্ষ্য করুণ। তাদের আচরণে বড় পরিবর্তন যেমন তাদের ঘুমের প্যাটার্নে পরিবর্তন, ঘুম কম হওয়া, দুঃস্বপ্ন দেখা, ঘনঘন মাথা ব্যাথা, পাকস্থলিতে ব্যাথা, অকারণে কান্না করা বা লম্বা সময় একা একা থাকে তাহলে বুঝতে হবে শিশু মানসিকভাবে ভালো নেই।
শিশুর যত্নে কিছু করণীয়
লকডাউন স্বত্ত্বেও বেড়েছে করোনা সংক্রমণ। এদিকে দ্বিতীয় ধাক্কায় বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এই অবস্থায় শিশুর নিরাপত্তায় আপনি হয়তো সামাজিক নিরাপত্তা, মাস্ক পরানো, প্রতিনিয়ত হাত ধোয়াচ্ছেন তবে তার পাশাপাশি পরিস্থিতির সাথে শিশুকে খাপ খাওয়াতে এবং তাদের খুশি রাখতে আপনাকে আরও কিছু পদক্ষেপ নেয়া উচিত।
১. শিশুর সাথে করোনার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলুন। তবে অবশ্যই তা একই সাথে তথ্যবহুল ও ভয় না দেখিয়ে। কেন এই অবস্থার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে বুঝিয়ে বলুন এবং করোনা বিধি-নিষেধ মানতে তাদের উৎসাহীত করুন।
২. তাদের জন্য একটা রুটিন বানান। সে সময়সূচি অনুযায়ী তাদের কাজ করায় সহায়তা করুন যাতে তারা সব কিছুতে সক্রিয় হয়। সম্ভব হলে তাদের জন্য আলাদা খেলার রুম করুন এবং সৃজনশীল কাজ করতে উৎসাহ দিন।
৩. শিশুর মানবিক বিকাশে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো তার সাথে সময় কাটানো। ঘরের কাজে তাদের যুক্ত করুন। অন্য সবার মতো তাকেও কিছু কাজ দিন। এতে করে পরিবারে তার গুরুত্ব অনূভব করবে এবং সবার সাথে যুক্ত থাকবে। তার পাশাপাশি তাদের সাথে গল্প করুন এবং তারা বলতে চায় তা মনযোগ দিয়ে শুনুন।