সোনালী লাইফ এর বিরুদ্ধে মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন কোম্পানির চেয়ারম্যান
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০১:১৯ পিএম, ১ জানুয়ারি ২০২৪ সোমবার
সোনালী লাইফ ইনসিওরেন্স এর চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কুদ্দুসের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে সম্প্রতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ কে ভিত্তিহিন এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত বলে উল্লেখ করে তার প্রতিবাদ করেছেন জনাব কুদ্দুস।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তিনি এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা এমন একটি সময় ঘটেছে যখন আমি সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানী লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার, পরিচালক বা চেয়ারম্যান ছিলাম না।
উল্লেখ্য যে, গত ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ তারিখে আমি কোম্পানীর চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হই। এর আগে আমি কোম্পানীর সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। শুধুমাত্র আমার ১৫ তলা ভবনের মালিক আমি; যা সোনালী লাইফের অফিস হিসাবে পরিচিত। আমি ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে কোম্পানীর শুধুমাত্র একজন পরিচালক হয়েছি।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে কোম্পানীর কার্যক্রমে অসঙ্গতি লক্ষ্য করে তিনি অংশীদার এবং গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য একটি অভন্ত্যরীণ তদন্ত শুরু করেছিলেন। এই তদন্তে কোম্পানীর অভ্যন্তরীণ একটি গোষ্ঠীর স্বার্থের কথা উন্মোচিত হয়; যার ফলে গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র জালিয়াতি এবং জালিয়াতিপূর্ণ ডকুমেন্ট তৈরিতে জড়িতদের পদত্যাগ করতে হয়।
প্রচারিত সংবাদে ভবন মালিক এবং সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানীর একটি সমঝোতা স্মারক উপস্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গোলাম কুদ্দুস বলেন, সংবাদে উপস্থাপিত সমঝোতা স্মারকটি জাল এবং উক্ত নথিতে আমার স্বাক্ষরও জাল করা হয়েছে।
স্বাক্ষরিত সমঝোতাটি বানোয়াট। যাতে ৫ অক্টোবর, ২০২১ এর একটি মিথ্যা তারিখ দেওয়া। যা একটি অবৈধ দলিল। তাছাড়া ভুলভাবে উপস্থাপন করা নথিটি ৫৮ হাজার ৮০০ বর্গফুট পরিমাপের সম্পত্তি ক্রয়/বিক্রয়ের জন্য একটি স্থানকে মিথ্যাভাবে নির্দেশ করে।
উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে ৩৫০.০০ কোটি টাকায় অফিস ভবন স্থানের মূল্য স্বারকে এবং আইডিআরএ আবেদনের সাথে উল্লিখিত ১১০.০৫ কোটি টাকার স্থলে প্রতারণামূলক ভাবে ৩৫০ কোটি টাকার উল্লেখ করা হয়। প্রকৃত বিবেচ্য পরিমাণ থেকে জালিয়াতিপূর্ণ সমঝোতা চুক্তি তৈরি করা হয়।
জনাব কুদ্দুস জোর দিয়ে বলেন, এই নথিগুলো হেরফের করার পেছনে উদ্দেশ্য হল মূল স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে বিভ্রান্তি এবং আতঙ্ক সৃষ্টি করা এবং কোম্পানীর ব্যবসা বৃদ্ধির গতিপথকে হ্রাস করা। এই ধরনের কার্যকলাপ যদি রোধ করা না হয়, তাহলে কোম্পানীর সুনামকে ক্ষতিগ্রস্থ করার এবং এর অগ্রগতি বাধাগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
জনাব কুদ্দুস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর চলমান তদন্তকাজ আরও গতি পায়। এতে একটি মহল ক্ষিপ্ত হয়। তারা কোম্পানী এবং জনাব কুদ্দুসকে দুর্বল করার জন্য জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে বিভিন্ন ডকুমেন্ট তৈরি করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোম্পানীর উল্লেখযোগ্য উন্নয়নে পৃষ্ঠপোষক পরিচালক মিসেস শাফিয়া সোবহান চৌধুরী, মিসেস ফৌজিয়া কামরুন তানিয়া এবং জনাব শেখ এম ড্যানিয়েল তাদের কাছে বরাদ্দকৃত শেয়ারের বিপরীতে নিজ নিজ উৎস থেকে অর্থ পরিশোধ করেন।
শুধু তাই নয়, তৎকালীন চেয়ারম্যান এবং সিইও’র অধীনে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পর্যলোচনা করে রেজিস্ট্রার অফ জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ (RJSC) এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক আইনের মাধ্যমে নিয়ম ও প্রবিধান অনুসারে অর্থ পরিশোধ করা হয়।
তিনি কোম্পানীর বিরুদ্ধে প্রকাশিত মিথ্যা তথ্য প্রচার ও প্রকাশিত সংবাদের তিব্র প্রতিবাদ জানান এবং সোনালী লাইফের সঙ্গে সম্পৃক্ত গ্রাহকসহ সবাইকে সোনালী লাইফের প্রতি আস্থা রাখার অনুরোধ জানান।