অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

দেশব্যাপী রোববার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৫ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার  

সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিসহ ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে রোববার সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপিসহ সমমনা দল ও জোট এবং জামায়াতে ইসলামী। এ কর্মসূচি সফল করতে মাঠে নেতাকর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে সব সাংগঠনিক জেলায় বার্তা দিয়েছেন তারা। একই দাবিতে রোববার আবারও নতুন কর্মসূচি ঘোষণার কথা রয়েছে। 

জানা যায়, আবারও গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি দেওয়া হবে। এদিকে তিন দিনের গণসংযোগের শেষ দিনেও শনিবার সারা দেশে লিফলেট বিতরণ করেছেন নেতাকর্মীরা। 

শনিবার সন্ধ্যায় ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী জনগণের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন। তিনি জানেন দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জিতবে না। সিপিডির এক গবেষণা বলছে, শুধু ব্যাংক থেকে ৯২ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘উনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের চেয়ে এক ধাপ বেশি কথা বলেন। আওয়ামী লীগ নেতাদের চাইতে তিনি বেশি দলমন্য ও ফ্যাসিবাদের দোসর। আজকে নির্বাচন, গণতন্ত্র, মানুষের স্বাধীনতা নিয়ে যে শয়তানি করা হচ্ছে, তাতে মনে হচ্ছে তারা শয়তানের অনুচর।’

রিজভী বলেন, এরশাদের আমলেও আমরা নির্বাচন বর্জন করেছি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন বর্জন করেননি? নির্বাচন পছন্দ হয়নি, তাই নির্বাচন বর্জন করেছেন। মনে হচ্ছে তিনি হলেন পবিত্র সন্ন্যাসী। যেটা বলবেন, সেটাই মানতে হবে। দেশের জনগণ, বুদ্ধিজীবী, এমনকি আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলেছে। প্রধানমন্ত্রী জানেন অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ জিতবে না। 

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী বলেন, ‘যারা ছাত্ররাজনীতি করে এসেছে, তারা অনেকেই আপনার (শেখ হাসিনা) কাছে তাদের আত্মা বিক্রি করেছে। তাদের সেই মনুষ্যত্ব বিবেক আর নেই। ওবায়দুল কাদের, হাছান মাহমুদরা জানতাম ছাত্ররাজনীতি করেছেন। ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি এখন ফ্যাসিবাদের মুখপাত্র হয়েছেন। শুধু আমরা কেন, সারা দেশের জনগণ কেউ আর তাদের পছন্দ করে না।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার সরকার এই টাকা পাচার করছে। সারা দেশে তারা সন্ত্রাসের পরিকাঠামো গঠন করেছে। উদ্দেশ্য- ব্যাংকগুলো শূন্য করা। দেশের আর্থিক খাতকে লোপাট করা। কেউ যেন প্রতিবাদ করতে না পারে, এজন্য প্রধানমন্ত্রী ১৫ বছর ধরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাজিয়েছেন।