যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির অবদান গুরুত্বপূর্ণ, বললেন কংগ্রেসম্যান হেকিম জেফরি
বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:০১ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
যুক্তরাষ্ট্রে রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ সব অঙ্গণের অগ্রগতিতে বাংলাদেশি কমিউনিটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। আর নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। এসব কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রধান নিউইয়র্কের ৮ম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের নির্বাচিত প্রতিনিধি হেকিম জেফরি। নিউইয়র্ক থেকে প্রচারিত বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রধানতম সংবাদমাধ্যম টাইম টেলিভিশন ও সংবাদপত্র বাংলাপত্রিকার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস, কংগ্রেসম্যান জামাল বোম্যানসহ মূলধারার রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।।
টাইম টেলিভিশননের ৯ম ও বাংলা পত্রিকা’র ২৭তম বর্ষপূর্তি উদযাপনে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশী কমিউনিটির সর্বস্তরের মানুষেরা সমবেত হয়েছিলেন এই আনন্দ আয়োজনে। নিউইয়র্কের উডসাইডে টিবেটান কমিউনিটি সেন্টারে গত শুক্রবার আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কমিউনিটির গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্মানিত করা হয়। তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন হেকিম জাফরি।
কোভিড-১৯ অতিমারির সময় কমিউনিটির পাশে দাঁড়িয়েছিলেন যে মানুষগুলো তাদেরই এই সম্মানা জানানো হয় টাইম টেলিভিশনের পক্ষ থেকে। যাদের মধ্যে রয়েছেন সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী তথা কমিউনিটির নেতৃবর্গ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইউএস কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট দলের নেতা কংগ্রেসম্যান হেকিম জেফরি তার পক্ষ থেকে টাইম টেলিভিশন-কে কংগ্রেসনাল প্রক্লেমোশন সম্মাননা তুলে দেন।
বর্ণাঢ্য এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে আরও যোগ গেন স্টেট সিনেটর জন লু, উগান্ডান বংশোদ্ভুত ষ্টেট অ্যাসেম্বলীম্যান জোহরান মামদানি, অ্যাসেম্বলীওম্যান জেনিফার রাজকুমার, সিটি কাউন্সিলম্যান শেখর কৃষ্ণান, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি কমিউনিটির নতুন প্রজন্মের তিন তরুণ মোটিভেশনাল স্পিকার প্রিসিলা, মরিয়ম মাসুদ ও ফাতিহা আয়াত প্রমুখ।
পাঁচ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পরিচালিত অনুষ্ঠানমালার মাধ্যমেও ফুটিয়ে তোলা হয় এই কমিউনিটির উন্নয়নে টাইম টেলিভিশন ও বাংলা পত্রিকা কতটুকু ভূমিকা রাখতে পেরেছে তার নানা দিক। সম্পাদক ও সিইও আবু তাহের তার বক্তৃতায় তুলে ধরেন টাইম টেলিভিশন ও বাংলা পত্রিকার যাত্রাকালের নানা চড়াই উৎড়াই। এবং সামনে এগিয়ে চলার শপথ। বিশেষ করে কোভিড-১৯ এর অতিমারির সময়ে এই দুটি সংবাদমাধ্যমকে হাতিয়ার করে কমিউনিটিকে সর্বোচ্চ চেষ্টায় সহায়তা দিতে তারা পাশে ছিলেন সেটা উল্লেখ করেন আবু তাহের। একই সঙ্গে সেই প্রচেষ্টায় কমিউনিটির অনেককেই যেমন পাশে পেয়েছিলেন সেটাও কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন তিনি। আর সে কারণেই এই বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে তাদের সম্মানিত করা হয়।
কংগ্রেম্যান হাকিম জেফরিস তার বক্তব্যে টাইম টেলিভিশনের উদ্বোধনী দিনের কথা স্মরণ করে বলেন, মাত্র ৯ বছরে প্রতিষ্ঠানটি কমিউনিটির গন্ডি ছাড়িয়ে বৃহত্তর পরিসরে ভূমিকা রাখতে পারছে, এটা গৌরবের। একই কথা উঠে আসে মেয়র এরিক অ্যাডামসের কণ্ঠেও। তিনি বলেন, টাইম টেলিভিশন নিউইয়র্কের মূল ধারায় গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নিউইয়র্কে মূলধারার রাজনীতিতে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশী মেরী জোবায়দা, অনুষ্ঠানের টাইটেল স্পন্সর কুইক মানি এক্সচেঞ্জ’র সিইও মনির হোসাইন, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট ডা. মাসুদুর রহমান, সাপ্তাহিক বাংলাদেশ সম্পাদক ওয়াজেদ এ খান, কুইন্স ডেমোক্র্যাটিক পার্টি ডিষ্ট্রিক্ট এট লার্জ এটর্নি মইন চৌধুরী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিষ্ট মোহাম্মদ আলী, ফার্মাসিস্ট সাহাব আহমদ, ফ্লোরিডা থেকে আগত বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিক দিনাজ খান, এটর্নী প্যারি ডি সিলভা, শহীদ উদ্দিন, শেখ আল মামুন, অভিনেত্রী ও মডেল মোনালিসা প্রমুখ।
বক্তারা সকলেই বাংলাদেশি কমিউনিটির পাশে থাকার জন্য টাইম টেলিভিশন ও বাংলাপত্রিকাকে তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।