অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইনাল পরীক্ষা ক্যাম্পাসে নেয়ার সিদ্ধান্তে ইউজিসির অনুমোদন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:০৭ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ রোববার   আপডেট: ০৬:৫২ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ রোববার

করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্নাতক (অনার্স) ও স্নাতকোত্তরের (মাস্টার্স) ফাইনাল বা চূড়ান্ত পরীক্ষা তাদের ক্যাম্পাসে নিতে পারবে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নিজেদের শিক্ষা পরিষদের (একাডেমিক কাউন্সিল) সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। 

রবিবার (১৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সাথে ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের এক ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক কাউন্সিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেশনজট মোকাবেলায় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে  একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

আরও পড়ুন**ঢাবির সেশনজট মোকাবেলায় পরীক্ষা নিতে ৩ সিদ্ধান্ত

সভায়, একইসাথে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ রাখাসহ সেমিস্টারের চূড়ান্ত পরীক্ষা এবং ব্যবহারিক ক্লাস ও মূল্যায়নে ৭ দফা সুপারিশ করেছে ইউজিসি। 

এগুলো হলো-
বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, কৃষি, চিকিৎসাসহ অন্যান্য শাখার অসমাপ্ত ব্যবহারিক ক্লাস এবং তার মূল্যায়ন স্বাস্থ্যবিধি মেনে পর্যায়ক্রমে সম্পন্ন করা।

সেমিস্টার পরীক্ষা, ব্যবহারিক ক্লাস ও মূল্যায়ন সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে সর্বশেষ সেমিস্টারের অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা অগ্রাধিকার পাবে।

করোনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের নির্দেশনায় বন্ধ থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখা। 

শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি মাথায় রেখে পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাসে পূর্ণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সম্পন্ন করা। 

এ জন্য শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও ব্যবহারিক ক্লাস শুরুর সর্বোচ্চ এক ঘণ্টা আগে ক্যাম্পাসে প্রবেশ এবং শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাওয়া। 

কোভিড-১৯ সংকটের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনলাইনে চলমান শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখা।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধকল্পে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জারি করা নির্দেশনা যথাযথভাবে প্রতিপালন ও অনুসরণ করা।

সভায় ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, পরীক্ষার মান নিয়ে যেন কোনো প্রশ্ন না ওঠে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ১৮ মার্চ থেকে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এরপর দফায় দফায় ছুটি বাড়িয়ে সর্বশেষ সেটি ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়। বাতিল হয়েছে বিভিন্ন পরীক্ষাও। তবে লেখাপড়ার ধারাবাহিকতা রক্ষায় অনলাইন, টিভি ও বেতারে ক্লাস চালিয়ে আসছে সরকার।