৫ মাস পর ডেঙ্গুতে মৃত্যুশূন্য দিন
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৭ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার
দীর্ঘ ৫ মাস পর ডেঙ্গুতে মৃত্যুশূন্য দিন দেখলো বাংলাদেশ। এর আগে সর্বশেষ ১৪ জুলাই ডেঙ্গুতে মৃত্যু শূন্যের তথ্য দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তার থেকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে। এমনকি গত ২৩ বছরের ইতিহাসে দেশে এবার রেকর্ড সংখ্যক ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ১৭৯ জন রোগী সারাদেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তবে এ সময় এডিস মশাবাহী ডেঙ্গু ভাইরাসে কারও মৃত্যু হয়নি। এ তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। নতুন রোগীদের নিয়ে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো এক হাজার ৬৮০ জনে। শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ মো. জাহিদুল ইসলাম সই করা ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ১৭৯ জনের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা ৫১ জন। এছাড়া ঢাকার বাইরের ১২৮ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন মোট তিন লাখ ১৮ হাজার ৯৮২ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ ৯ হাজার ৪৪৮ জন, আর ঢাকার বাইরের ২ লাখ ৯ হাজার ৫৩৪ জন। এছাড়া একই সময়ে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ হাজার ৬৭৮ জন। তাদের মধ্যে ৯৬৮ জন ঢাকায় এবং ৭১০ জন ঢাকার বাইরে মারা গেছেন।
অধিদপ্তর আরও জানিয়েছে গত ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন তিন লাখ ১৫ হাজার ৬২৪ জন। তাদের মধ্যে ঢাকার বাসিন্দা এক লাখ সাত হাজার ৯৭১ জন এবং ঢাকার বাইরের দুই লাখ সাত হাজার ৬৫৩ জন।
২০২২ সালে ডেঙ্গুতে ২৮১ জন মারা যান। ওই বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। একই সঙ্গে ওই বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৬২ হাজার ৩৮২ জন। ২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গু সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। একই বছর দেশব্যাপী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ২০২২ সালে ২৮১ জন, ২০২১ সালে ১০৫ জন, ২০২০ সালে সাতজন ও ২০১৯ সালে ১৭৯ জনের মৃত্যু হয়।