অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পাবিপ্রবিতে অধ্যাপক নিয়োগে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ

পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ রোববার  

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পাবিপ্রবি) অধ্যাপক পদে নিয়োগের বিরুদ্ধে হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ জারি করেছেন। রবিবার বিচারপতি খসরুজ্জামান’র আদালত এ স্থগিতাদেশ দেন।

পাবিপ্রবি সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ এবং গণিত বিভাগে শূন্য পদে অধ্যাপক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিজ্ঞপ্তির শর্তাবলী কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়োগ দেয়ার জন্য সৃষ্ট দাবি করে এর প্রতিবাদ জানান পাবিপ্রবি’র বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আবদুল আলীম। 

এ নিয়োগ চ্যালেঞ্জ করে গত ৫ নভেম্বর ক্যাম্পাসে ভিসি এম. রোস্তম আলীর দুর্নীতি, অনিয়ম, ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতিবাদে আট দফা দাবিতে একক অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি। এতে ভিসি কর্ণপাত না করায় হাইকোর্টে রিট করেন ড. এম আবদুল আলীম। রিট চলা অবস্থায় অতি গোপনে তড়িঘড়ি করে গত ১২ ডিসেম্বর অনলাইনের (জুম) মাধ্যমে নিয়োগ বোর্ড সম্পন্ন করেন ভিসি। এদিন হাইকোর্টের বিচারপতি খসরুজ্জামান’র আদালত এ নিয়োগের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।

রিটকারী শিক্ষক ড. এম আব্দুল আলীম বলেন, পাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম রোস্তম আলী নিজের পছন্দের চার শিক্ষক গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল হক, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. কামরুজ্জামান, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আমিরুল ইসলাম এবং গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. হারুনার রশিদকে প্রফেসরের শূন্য পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত নীতিমালা লংঘন করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে অবৈধ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবি করি। 

তিনি বলেন, কিন্তু উপাচার্য মহোদয় তা আমলে না নেয়ায় আমি হাইকোর্টে রিট করি। নীতিমালা লংঘন করে নিয়োগের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশে আমার দাবির যৌক্তিকতাই প্রতিষ্ঠিত হলো। ভিসি স্যার তার ইচ্ছে মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ এবং স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছেন। তার ওই ৪ শিক্ষকের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী নির্যাতনসহ অফিস কক্ষে গোপন খাস কামরা তৈরি করে অনৈতিক ও অসামাজিক কর্মকাণ্ডেরও অভিযোগ রয়েছে।

মামলার আইনজীবী মাহমুদ হাসান রানা জানান, আমরা স্থগিতাদেশের কপি পাঠিয়ে দিয়েছি। তবুও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যদি এ নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রাখে, তাহলে আইনকে অমান্য করা করা হবে। 

বিষয়টি নিয়ে পাবিপ্রবি’র ভাইস চ্যান্সেলর ড. রোস্তম আলী ও অতিরিক্ত রেজিষ্ট্রার বিজন কুমার ব্রম্যর মুঠোফোনে কয়েকবার চেষ্টা করেও তারা ফোন রিসিভ করেননি।