সুপ্রিমকোর্টে জানাজা মইনুল হোসেনের দাফন সম্পন্ন
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪১ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ রোববার
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার বিকালে রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে মা-বাবার কবরের পাশে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে দুপুর ২টায় সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় ইমামতি করেন সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মসজিদের ইমাম মুফতি আবু জাফর।
জানাজার আগে মইনুল হোসেনের স্মৃতি স্মরণ করে বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির। পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া কামনা করেন ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও বড় ছেলে জাবেদ হোসেন। জানাজায় অংশ নেন সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন, আপিল বিভাগের বিচারপতি, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এবং সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবীরা।
এর আগে মইনুল হোসেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রোববার দ্বিতীয়ার্ধে (বেলা ১১টার পর থেকে সোয়া ১টা পর্যন্ত) আপিল বিভাগের বিচারকাজ বন্ধ রাখা হয়। আর হাইকোর্ট বিভাগেও দ্বিতীয়ার্ধে (২টা থেকে সোয়া ৪টা) বিচারকাজ বন্ধ রাখা হয়।
সকালে আপিল বিভাগের বিচারকাজ শুরু হলে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল দৃষ্টি আকর্ষণ করলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, ‘আমরাও তাকে সম্মান করি।’ এরপর প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করে আপিল বিভাগে বেলা ১১টার পর বিচারকাজ বন্ধ থাকবে বলে জানান।
শনিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ। এদিকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।
নির্ভীক সাংবাদিক তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়ার জ্যেষ্ঠ পুত্র ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ১৯৪০ সালের জানুয়ারিতে পিরোজপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকার নবাবপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় থেকে তিনি ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে ব্যারিস্টারি পড়তে লন্ডন যান এবং মিডল টেম্পল-ইন এ ভর্তি হন। ১৯৬৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি ব্যারিস্টার হিসাবে ‘বার’-এ যোগ দেন এবং একই বছর ডিসেম্বরে ঢাকা হাইকোর্টে আইন ব্যবসা শুরু করেন।
১৯৬৯ সালে বাবার মৃত্যুর পর দৈনিক ইত্তেফাক সম্পাদনার দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি হন।
১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসাবে পিরোজপুর (বরিশাল) জেলার ভান্ডারিয়া-কাঁঠালিয়া নিয়ে গঠিত নির্বাচনি এলাকা থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নিউ নেশন পত্রিকার প্রকাশক।