টুকু-জুয়েলসহ বিএনপির ২৯ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৬:০৮ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
রাজধানীর শাহজাহানপুর ও গুলশান থানায় করা নাশকতার পৃথক দুই মামলায় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ বিএনপির ২৯ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় ৪৫ জনকে খালাসও দিয়েছেন আদালত।
শাহজাহানপুর থানার মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কাদির ভূঁইয়া জুয়েল, মো. ভাসানী চাকলাদার, মো. মহসীন, মো. হানিফ হোসেন বাবু, মো. বেলাল উদ্দিন, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম মজনু, মো. তারিকুল ইসলাম জিকির, মো. বাতেন, কাজী মো. জামাল, ইমরান খান ইমন, মো. সোহাগ ভূঁইয়া, আ. সালাম খান, আরিফুর রহমান সুজন, শেখ শহিদুল্লাহ টিপু, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. আব্দুল্লাহ জামাল চৌধুরী আদিত্য, মো. সেলিম, আহমেদ ও হুমায়ূন কবির নাহিদ।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের দণ্ডবিধির ১৪৮ ও ৩৪ ধারায় দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দণ্ডবিধির ৪২৭ ও ৩৪ ধারায় এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে দুই ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে আসামিদের দুই বছর করে সাজা ভোগ করলেই চলবে বলেও রায়ে বলেছেন আদালত।
অন্যদিকে খালাসপ্রাপ্ত ৪৪ আসার মধ্যে আবুল হোসেন ওরফে লিলু, মো. শফিউল বারী বাবু ও মো. শামসুর রহমান হুমায়ূন মামলা চলাকালীন মৃত্যুবরণ করেছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, রাজধানীর শাহজাহানপুর এলাকায় ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে নাশকতার অভিযোগে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। পরবর্তীসময়ে পুলিশ তদন্ত শেষে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে ঢাকার সিএমএম আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
এদিকে গুলশান থানার আরেক মামলায় বিএনপির নয় নেতাকর্মীকে পৃথক দুই ধারায় দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন এ কারাদণ্ড দেন।
কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মেহেদী বাপ্পী, মাইনুল হাসান প্রকাশ মিশু, শরিফুল, জাকির হোসেন, মজিবুর রহমান প্রকাশ মজি, মামুন চৌধুরী, রুবেল হোসেন, আতিকুর রহমান, বিল্লাল হোসেন।
আসামিদের ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ১৪৩ ধারায় ছয়মাসের কারাদণ্ড ও পাঁচহাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তাদের একই আইনের ১৪৭ ধারায় দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচহাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এ মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আমিনুল ইসলাম নামে এক আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর গুলশানে বিএনপির নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মিছিল করে। এসময় যানবাহন ভাঙচুরের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে পুলিশের গুলশান থানার এসআই মো. নজরুল ইসলাম। মামলাটি তদন্ত করে ২০১৯ সালের ২২ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।