ভোটের আগে ১১০ ইউএনও বদলির অনুমোদন
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১২ পিএম, ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ১১০ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) বদলির অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে ৩৩৮ থানার ওসি ও ১১০ ইউএনওকে বদলির তালিকা পাঠানো হয় ইসিতে।
নির্বাচন কমিশনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ওসি-ইউএনও বদলির প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সংক্রান্ত একটা ফাইল স্বাক্ষরও হয়েছে। এখন চিঠি ইস্যু হবে। এই চিঠি স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর পাঠানো হবে।
এর আগে প্রথম ধাপে গত সোমবার একদিনেই ৪৭ জন ইউএনওকে বদলির জন্য জনপ্রশাসন থেকে প্রস্তাব পাঠানো হয় ইসিতে। ওই প্রস্তাবে সম্মতি দেয় ইসি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিব নাম গোপন রাখার শর্তে যুগান্তরকে বলেন, কাজটি ধাপে ধাপে হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, কয়েকদিনের মধ্যে জনপ্রশাসনের রদবদল শেষ হয়ে যাবে। তবে নির্দিষ্ট কোনো অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেলে যে কোনো সময় যে কাউকে বদলির ক্ষমতা কমিশনের রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও জানান, জেলা প্রশাসক (ডিসি) বদলির কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি। তবে অনিয়মের নির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কমিশন যখন-তখন ডিসি বদলির নির্দেশ দিতে পারে। যারা এক বছরের বেশি ইউএনও হিসাবে কর্মস্থলে ছিলেন, তাদেরই বদল করা হবে বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশন যেভাবে বলেছে, সেই অনুসারে বিভাগীয় কমিশনাররা তালিকা তৈরি করছেন।
গত ১৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। গত ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হয়। নির্বাচনি প্রচার শুরু হবে আগামী ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। নির্বাচনে প্রচার শুরুর আগেই বদলির কাজ শেষ করতে চায় সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
জানা গেছে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মাঠপ্রশাসন ও পুলিশে বড় ধরনের রদবদল করতে সরকারকে চিঠি দিয়েছিল ইসি। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে এ চিঠি দেওয়া হয়। দেশের সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে গত ৩০ নভেম্বর পৃথক চিঠি দেয় কমিশন। ওই চিঠিতে এক বছরের বেশি সময় থাকা ইউএনও এবং ছয় মাসের বেশি সময় থাকা ওসিদের বদলির প্রস্তাব নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে বলা হয়।
আরও জানা গেছে, বর্তমান মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী ও সংসদ-সদস্যদের বেশিরভাগই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছেন। মাঠপ্রশাসন ও পুলিশের অনেক কর্মকর্তা একই জায়গায় দীর্ঘদিন থাকার কারণে তাদের অনেকের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয়েছে। এ অবস্থায় প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে নির্বাচন কমিশন এ পদেক্ষপ নিয়েছে।