আমার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে: চঞ্চল চৌধুরী
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৫৫ পিএম, ২৮ নভেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
সদ্য শেষ হওয়া ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপে টানা অপরাজেয় ছিল ভারত। দেশটির ক্রিকেট দলের প্রবল বিক্রমের কাছে কেউ দাঁড়াতেই পারেনি। কিন্তু সেই ভারতকেই ১৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া।
এদিকে ট্রফির কাছাকাছি এসেও ছিটকে যাওয়ায় ভারতীয়রা ছিল মর্মাহত। অন্যদিকে ভারতের হারে বাংলাদেশিদের একটি অংশ হন উচ্ছ্বাসিত। সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ করেন উল্লাসে। এতে ক্ষুব্ধ ভারতীয়রা। বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যম থেকে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল মতামত। এর কারণ হিসেবে ভারত বিদ্বেষী মনোভাবকে দায়ী করেছিলেন অভিনেতা।
এ মন্তব্যের পরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোপের মুখে পড়েন চঞ্চল। নেটিজেনদের অনেকে তার তীব্র সমালোচনা করেন। কেউ কেউ আবার দেন চঞ্চলকে বয়কটের ডাক। এবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন চঞ্চল। তিনি মনে করছেন তার মন্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদমাধ্যমকে চঞ্চল বলেন, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। আমার মন্তব্যকে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আমি আর কোনও মন্তব্য করতে রাজি নই।’
এর আগে ভারতের হারে বাংলাদেশের অনেকের উল্লাস প্রসঙ্গে ভারতের এক সংবাদমাধ্যমকে চঞ্চল বলেছিলেন, ‘খেলাকে আর মানুষ শুধু মাঠের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখছে না। এটাই আমার খারাপ লাগার জায়গা। খেলাতে হার-জিত থাকেই, তবে সেটার ফলে এমন হিংসার ছবি প্রকাশ্যে আসা কাম্য নয়। বাংলাদেশে অনেক ভারত বিদ্বেষী আছে, এটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। সে রাজনীতি হোক কিংবা খেলা। সবক্ষেত্রেই। এটা বাস্তব। সব দেশেই এমন থাকে। বাংলাদেশেও আছে।’
তিনি আরও বলেছিলেন, ‘তবে এটাই কিন্তু বাংলাদেশের সার্বিক চিত্র নয়। এখানে এ রকম প্রচুর মানুষ ভারতের সিনেমা ভালোবাসে। মুক্তিযুদ্ধের অবদান মনে রাখে। যারা মুক্তিযুদ্ধের সমর্থক নয়, তাদের পরিবার পরম্পরায় পাকিস্তানের পক্ষে। আর যারা ভারতবিরোধী তাদের প্রত্যেকের কাছে জনে জনে গিয়ে তো আমার পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে, ভারতকে সাপোর্ট করো।’
চঞ্চল আরও বলেছিলেন, ‘একটা দেশে বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষ আছে। বাংলাদেশের বহু মানুষ এখনও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করে। অনেকে আবার সমর্থনও করে। আবার ভারত বনাম পাকিস্তান খেলা হলে, অনেকে পাকিস্তানকেও সমর্থন করে। এমন নয় যে, বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষই ভারত বিদ্বেষী। এটা তো রাজনীতি বা খেলা সবক্ষেত্রেই হতে পারে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে যারা ছিল, তারা হয়ত ভারত বিদ্বেষী। তাই এহেন আচরণ করেছে।’