যুদ্ধবিরতির আগের রাতেও ব্যাপক বোমাবর্ষণ, গাজায় নিহত ছাড়াল ১৪৫০০
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ও বন্দিবিনিয়ম চুক্তি হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকে এই যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতির ঠিক আগের রাতে গাজাজুড়ে ব্যাপক বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। দেশটির এমন হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪০০ জন বেড়ে ছাড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০০।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের নির্বিচার হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৩২ জনে। নিহতদের মধ্যে ৬ হাজারের বেশি শিশু ও ৪ হাজারের বেশি নারী। এ ছাড়া এই সময়ে আহত হয়েছে আরও অন্তত ৩৫ হাজার। আহতদের ৭৫ শতাংশই শিশু ও নারী।
গাজার নিয়ন্ত্রক গোষ্ঠী হামাস জানিয়েছিল, ইসরায়েলের সঙ্গে হামাসের চলমান যুদ্ধ চার দিনের জন্য স্থগিত রাখা হবে। স্থানীয় সময় আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে এই যুদ্ধবিরতি শুরু হবে বলেও জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। তবে যুদ্ধবিরতির আগের রাতেও গাজাজুড়ে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন ফিলিস্তিনি সংবাদ সংস্থা ওয়াফার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, গাজার দায়ের এল-বালাহ, নুসেইরাত শরণার্থীশিবিরের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ দুই এলাকায় আবাসিক ভবনে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় বেশ কয়েকজন প্রাণ হারিয়েছে।
এ ছাড়া, গাজার পাশের শেইখ রাদওয়ানেও ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর বাইরে খান ইউনিস ও মিসর সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফাহেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলায় আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি রাফাহে কুয়েতের অর্থায়নে পরিচালিত কুয়েত হাসপাতালের মালিকানাধীন একটি ভবনও বিধ্বস্ত হয়েছে।