বিশ্ববাজারে কমেছে সোনার দাম
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৪ পিএম, ১১ নভেম্বর ২০২৩ শনিবার
বিশ্ববাজারে এক সপ্তাহে প্রতি আউন্স সোনার দাম কমেছে প্রায় ৫০ ডলার। বিশ্ববাজারে এ প্রবণতা অব্যাহত থাকলে এবং স্থানীয় বাজারে পাকা সোনার দাম কমলে আগামী সোমবার (১৩ নভেম্বর) দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা আসতে পারে।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, সোনার দাম কমাতে সোমবার তারা বৈঠকে বসার পরিকল্পনা করেছেন।
বিশ্ববাজারে সোনার দাম কমলেও দেশের বাজারে তার খুব একটা প্রভাব পড়েনি। অপরদিকে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম প্রতিনিয়তই বাড়ছে। সবকিছু পর্যালোচনা করে দেশের বাজারে সোনার দাম পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, বিশ্ববাজারে সোনার লেনদেনের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত সপ্তাহের শুরুতে প্রতি আউন্স সোনার দাম ছিল এক হাজার ৯৯২ ডলার। সপ্তাহ শেষে তা কমে এক হাজার ৯৩৮ ডলারে চলে আসে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে সোনার দাম কমে ৫৪ ডলার বা ২ দশমিক ৭২ শতাংশ। এর মধ্যে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেই দাম কমে ২০ দশমিক ১০ ডলার বা এক দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ।
গত ৬ নভেম্বর শেষবারের মতো দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানো হয়। সেসময় সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৪ হাজার ৬২৬ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৬৯১ টাকা।
এছাড়া, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৮৫ হাজার ৬১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৭১ হাজার ৩২৫ টাকা। বর্তমানে দেশের বাজারে এই দামেই বিক্রি হচ্ছে সোনা।
জানা যায়, বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হচ্ছে এক লাখ ১৩ হাজার ৩৫৬ টাকা।
দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পরে বিশ্ববাজারে বড় দরপতন হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে দেশের বাজারে সোনার দাম কমানো প্রসঙ্গে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এম এ হান্নান আজাদ বলেন, দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর পর এরই মধ্যে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৫০ ডলারের মতো কমেছে। তবে, স্থানীয় বাজারে তার খুব একটা প্রভাব পড়েনি। আবার গত সপ্তাহে ডলারের দাম বেড়ে প্রতি ডলার ১২৫ টাকা হয়ে গেছে। এরপরও আমরা সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে দেখবো।
তিনি বলেন, আগামী সোমবার বৈঠকের পরিকল্পনা করেছি। এর আগে স্থানীয় বাজারের অবস্থাও পর্যালোচনা করবো। বিশ্ববাজার, স্থানীয় বাজারে পাকা সোনার দাম এবং ডলারের দাম- সবকিছু পর্যালোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।