সরকারের সময় শেষ পতন হবেই: রিজভী
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৫ পিএম, ৩ নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকারের সময় শেষ। পতন হবেই। আমরা খবর পাচ্ছি- কিভাবে জনগণের নির্ভিক সাহসী লড়াই নির্মূল করা যায় তা নিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থানে গোপন বৈঠক হচ্ছে, গণভবনে শলাপরামর্শ হচ্ছে। কিন্তু লাভ নেই। কারণ দেশের জনগণ হাতের মুঠোয় জীবন নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছে। কোনো কিছুতে এবার কাজ হবে না। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত কেউ রাজপথ ছাড়বে না।’
শুক্রবার বিকালে ভার্চুয়ালি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘বিজয় না হওয়া পর্যন্ত একদফার আন্দোলন চলতেই থাকবে। ৪৮ ঘণ্টার যে অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে তা রোববার ভোর ৬টা থেকে শান্তির্পূণভাবে পালিত হবে। সরকারের কোনো উসকানিতে কেউ পা দেবে না। জনগণ যাতে তার পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে তার জন্য আমাদের আন্দোলন। এ আন্দোলন আদর্শের, জনগণের ন্যায়সঙ্গত, বিবেকবান মানুষের বেড়ে উঠা বিকশিত হওয়ার আন্দোলন। যারা গণতন্ত্র, মানুষের স্বাধীনতা, নাগরিক স্বাধীনতা সমর্থন দিবেন তাদের প্রত্যেকেই এ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সারথি হিসাবে থাকবেন।’
‘গণবিরোধী আইন বুড়িগঙ্গায় ফেলা হবে’ মন্তব্য করে রিজভী বলেন, ‘নিশিরাতের ভোট ডাকাতির জাতীয় সংসদের অধিবেশন বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। ৫ বছর ধরে ভুয়া সংসদ-সদস্যরা সংসদে দাঁড়িয়ে শুধু স্বার্থ চরিতার্থ করেছে। তারা সাধারণ জনগণের জন্য কল্যাণকর কিছুই করেনি। মোট ২৭২ দিনের কার্যদিবসে সংসদকে আওয়ামী দলীয় আড্ডাবাজির আখড়ায় পরিণত করা হয়েছে। ১৬৫টি বিল পাশ করেছে যার সবই গণবিরোধী। যেসব অবৈধ আইন পাশ করা হয়েছে তা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সুষ্ঠু ভোটের সংসদ-সদস্যরা বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে।’
সরকার একতরফা নির্বাচনের পাঁয়তারা করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী দলদাস নির্বাচন কমিশন, পুলিশ ও প্রশাসন সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছে। বিএনপিকে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখতে দলদাস আওয়ামী প্রশাসনকে নিয়ে এক অভিনব মিশনে নেমেছে শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) ও তার সরকার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সামাজিক বেষ্টনীর আওতায় কার্ডের মাধ্যমে সুবিধাভোগী প্রায় ২ কোটি মানুষকে টার্গেট করেছে আওয়ামী লীগ, স্থানীয় সংসদ-সদস্য ও অনুগত প্রশাসনের কর্মকর্তারা। গত কয়েকদিন ধরে প্রতিটি উপজেলায় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর হতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর প্রকল্পের আওতায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সুবিধা প্রাপ্তদের নিয়ে সমাবেশ করছেন তারা। প্রতিটি সমাবেশে ডিসি, এসপি, ইউএনওসহ থানার ওসিরাও উপস্থিত থাকছেন। এসব সমাবেশে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। ভোটকেন্দ্রে না গেলে কার্ড বাতিলের হুমকি দেওয়া হচ্ছে।’
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত সারা দেশে ২৯২ জনের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে রিজভী আরও বলেন, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ১ হাজার ৪৫ জনের অধিক নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ৪ হাজার ৮৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা হয়েছে ১০৭ টির বেশি। আহত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৭৬ জনের অধিক। একজন সাংবাদিকসহ ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।