গাজীপুরে গুলিতে গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার
গাজীপুরের বাসন থানার মালেকের বাড়ি এলাকায় গুলিতে রাসেল হাওলাদার (২৬) নামে এক গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হয়েছেন।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
রাসেল এনার্জিপ্যাক ডিজাইন গার্মেন্টসের ইলেকট্রিশিয়ান পদে চাকরি করতেন। তিনি ঝালকাঠি সদর থানার বিনয় কান্দি গ্রামের মো. হান্নান হাওলাদারের ছেলে। বর্তমানে বাসন থানার মালেকের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি।
শ্রমিকদের দাবি, পুলিশের গুলিতে রাসেলের মৃত্যু হয়েছে। তবে গাজীপুর পুলিশ বলছে, হার্ট অ্যাটাকে তাঁর মৃত্য হয়েছে।
রাসেলের সহকর্মী আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমি ও রাসেল হাওলাদার দুজনেই একই বাসায় থাকি এবং একই গার্মেন্টসে চাকরি করি। আমি খবর পেলাম, বেতন–ভাতার দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ গুলি চালায়। এতে আমার সহকর্মী রাসেলের বুকে গুলি লাগে। পরে তাঁকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গীর আহসানুল্লাহ মাস্টার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানায় রাসেল আর বেঁচে নেই।’
ঢামেকে রাসেল হাওলাদারের সঙ্গে আসা টঙ্গী পূর্ব থানার কনস্টেবল তিলক বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাঁকে আহসানুল্লাহ মাস্টার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়। পরে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’
ঢামের আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘নিহত রাসেলের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু হতে পারে।’
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি) ইব্রাহীম খান বলেন, রাসেল হাওলাদার নামে ওই শ্রমিক হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে মারা গেছেন।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘গুলিবিদ্ধ রাসেল হাওলাদারের মরদেহটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। আমরা বিষয়টি বাসন থানাকে জানিয়েছি।’