ইংল্যান্ডকে উড়িয়ে দিয়ে টানা ৬ ম্যাচ জিতে শীর্ষে ভারত
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩১ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৩ রোববার
অপ্রতিরোধ্য ভারত। বিশ্বকাপের চলতি আসরে স্বাগতিকদের জয়ের রথ চলছেই। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিদের জয়ের রথ থামাতে পারেনি রেকর্ড ৫ বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়াও।
চলতি আসরে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা নিউজিল্যান্ডকে আইসিসির কোনো ম্যাচে ২০ বছর পর এবার হারায় ভারত। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে অবিশ্বাস্য ফর্মে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকাও পরাস্ত হয় ভারতের কাছে।
বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। ২০১৯ সালে ঘরের মাঠে প্রথম বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায় ব্রিটিশরা। ডিপেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এবারের আসরের শুরু থেকেই পরাজয়ের বৃত্তে আটকে আছে। বাংলাদেশকে হারালেও আফগানিস্তানের মতো উঠতি দলের বিপক্ষে হেরে যায় ইংরেজরা।
আজ রোববার ভারতের লখনৌতে বিশ্বকাপের স্বাগতিকদের বিপক্ষে স্রেফ উড়ে যায় ইংল্যান্ড। ভারতের বিপক্ষে ২৩০ রানের টার্গেট তাড়ায় ৩৪.৫ ওভারে ১২৯ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। ব্রিটিশরা ম্যাচ হারে ১০০ রানের বিশাল ব্যবধানে।
রোববার ভারতের লখনৌতে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায় ভারত।
ইংল্যান্ডের তারকা পেসার ক্রিস ওকসের গতির শিকার হয়ে ফেরেন ওপেনার শুভমান গিল ও শ্রেয়াস আইয়ার। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বিরাট কোহলিকে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরান পেসার ডেভিড উইলি।
৪০ রানে ৩ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন রোহিত শর্মা ও লোকেশ রাহুল। চতুর্থ উইকেটে তারা ১১১ বলে ৯১ রান করেন। একটা সময়ে ৩ উইকেটে ভারতের সংগ্রহ ছিল ১৩১ রান। এরপর ফের ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বিশ্বকাপের স্বাগতিকরা। মাত্র ৫২ রানের ব্যবধানে ভারত হারায় ৪ উইকেট।
৩৯ রানে ফেরেন রোকেশ রাহুল। ১০১ বলে ১০টি চার আর তিনটি ছক্কায় দলীয় সর্বোচ্চ ৮৭ রান করে ফেরেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ৮ ও ১ রান করে ফেরেন অলরাউন্ডার রবিন্দ্র জাদেজা ও পেস বোলার মোহাম্মদ শামি।
দলের এমন ব্যাটিং বিপর্যয়ে শেষ দিকে দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন সুরাইয়া কুমার যাদব। তিনি দলীয় ২০৮ রানে অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরার আগে ৪৭ বলে করেন ৪৯ রান।
ইনিংসের একিবারে শেষ বলে দলীয় ২২৯ রানে নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে রান আউট হয়ে ফেরেন পেসার জসপ্রিত বুমরাহ।
ভারতের বিপক্ষে ২৩০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান করে ইংল্যান্ড। এরপর শূন্য রানের ব্যবধানে হারায় দুই উইকেট। ব্যাটিং বিপর্যয়ের কারণে মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ইংল্যান্ড হারায় ৪ উইকেট।
পরপর দুই বলে ২ উইকেট শিকার করেন ভারতীয় তারকা পেসার জসপ্রিত বুমরাহ। এরপর ইংল্যান্ড শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন ভারতীয় তারকা পেসার মোহাম্মদ শামি।
বুমরাহ-শামির গতির মুখে পড়ে মাত্র ৩৯ রানে ইংল্যান্ড হারায় ৪ উইকেট। এরপর ইংল্যান্ড শিবিরে আঘাত হানেন স্পিনার কুলদবীপ যাদব। তার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক।
অলরাউন্ডার মইন আলিকে ক্যাচ তুলেতে বাধ্য করেন পেসার মোহাম্মদ শামি। ক্রিস ওকসকে আউট করেন রবিন্দ্র জাদেজা। লিয়াম লিভিংস্টোনকে আউট করেন কুলদীপ যাদব। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে আদিল রশিদকে বোল্ড করে সাজঘরে ফেরান মোহাম্ম শামি।
মোহাম্মদ শামি ও জসপ্রিত বুমরাহের গতি আর কুলদীপ যাদব ও রবিন্দ্র জাদেজার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে সময়ের ব্যবধানে উইকেট হারিয়ে ১২৯ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন লিয়াম লিভিংস্টোন। ১৬ রান করে করেন ডেভিড মালান ও ডেভিড উইলি।
ভারতের হয়ে মোহাম্মদ শামি সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন। তিন উইকেট নেন জসপ্রিত বুমরাহ। ২ উইকেট নেন কুলদীপ যাদব আর এক উইকেট নেন রবিন্দ্র জাদেজা।