অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ঢাকার সড়ক থেকে গণপরিবহন উধাও, চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১১:২৫ এএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার  

প্রধান দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ আজ। এছাড়া জামায়াতসহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও সমাবেশ ডাকায় রাজধানীতে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। সমাবেশ ঘিয়ে নাশকতা হতে পারে এমন আশঙ্কায় রাজধানীতে গণপরিবনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নগরবাসী।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) সকালে মতিঝিল, পল্টন মোড়, কারওয়ান বাজার, বাড্ডা, নতুনবাজার, কুড়িল বিশ্বরোড এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। এই দাবিতে আজ দুপুরে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করবে দেড় দশক ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দলটি। অন্যদিকে সংবিধান অনুযায়ী দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে এমন ঘোষণা দিয়ে ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এছাড়া আরও কয়েকটি বিরোধী দলের সমাবেশ হবে আজ।

ঘটনাবহুল ২৮ অক্টোবরে কয়েকটি দলের কর্মসূচি থাকায় রাজধানীতে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। কী হবে আজ তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই নানা গুঞ্জন চলছে। শঙ্কা বিরাজ করছে নগরবাসীর মনে। সমাবেশ ঘিরে নাশকতার আশঙ্কায় সকাল থেকে রাজধানীতে চলাচল করা গণপরিবনের সংখ্যা অনেক কম দেখা গেছে।

সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি সড়ক ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। এসব এলাকায় দেখা গেছে, গণপরিবহন কম থাকায় প্রতিটা বাস পয়েন্টে যাত্রীদের ভিড় লেগে আছে। মাঝেমধ্যে দুএকটা গাড়ি এলে অপেক্ষমাণ যাত্রীরা কে কার আগে উঠবেন হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন। অনেকেই আবার ঝুঁকি নিয়ে ঝুলে পরছেন গাড়ির গেটে। নামার যাত্রী না থাকায় অনেক বাসকে পয়েন্টে না থেমে চলে যেতে দেখা গেছে। যাত্রীর চাপে বাধ্য হয়ে নির্ধারিত বাস স্টপেজে না থেমে ফাঁকা জায়গায় গিয়ে থামছে।

বাসের অপেক্ষায় নতুনবাজারে দাড়িয়ে থাকা রফিকুল বলেন, কয়েকটি দলের সমাবেশের কারণে গাড়ি কম চলছে। অনেকক্ষণ চেষ্টা করেও গাড়িতে উঠতে পারছি না।

বাড্ডা এলাকায় আবু মুসা নামে একজন বলেন, দুএকটা গাড়ি এলেও সেগুলোতে যাত্রীতে ভরা। উপায় না পেয়ে এখন হেঁটেই যাচ্ছি।

গণপরিবহন চালকরা জানান, নাশকতার শঙ্কা থেকেই সড়কে গণপরিবহন নিয়ে বের হচ্ছেন না তারা। অল্প কিছু গণপরিবহন চললেও যাত্রী আছে ধারণ ক্ষমতার দুই থেকে তিনগুণ।

এদিকে একইদিনে কয়েকটি দলের সমাবেশ ঘিরে রাজধানীতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মাঠে রয়েছেন র‌্যাব, পুলিশের ১৫ হাজার সদস্য। নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছেন বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরাও।