প্রথম প্রান্তিকে ২০২.০৭ কোটি টাকা মুনাফাসহ অন্যান্য সূচকেও প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে ওয়ালটন
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:০১ পিএম, ২৬ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
বৈশ্বিক বাণিজ্য অস্থিরতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা, ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কটসহ নানা প্রতিকূল ব্যবসায়িক পরিস্থিতির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেও প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রেখেছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই, ২০২৩ – সেপ্টেম্বর, ২০২৩) ২০২.০৭ কোটি লাখ টাকা মুনাফা করেছে পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে তালিকাভুক্ত দেশের শীর্ষ ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স কোম্পানিটি।
ওয়ালটন হাই-টেকের চলতি হিসাব বছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পর্যন্ত সময়ের প্রথম প্রান্তিকের প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। বুধবার (২৫ অক্টোবর, ২০২৩) কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের ৩৬তম সভায় আলোচ্য সময়ের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩-২০২৪ হিসাব বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে অর্থাৎ প্রথম তিন মাসে কোম্পানিটির মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২০২.০৭ কোটি টাকা। যেখানে আগের হিসাব বছরের একই সময়ে প্রতিষ্ঠানটির ৪৬ কোটি ১০ লাখ টাকা লোকসান হয়েছিল।
প্রথম প্রান্তিকে মুনাফা অর্জনের পাশাপাশি অন্যান্য আর্থিক সূচকেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ওয়ালটন হাই-টেকের। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির রিসিভেবলস্ কালেকশন বা দেনাদারদের থেকে টাকা প্রাপ্তির পরিমাণ বৃদ্ধিসহ অপারেটিং প্রফিট মার্জিন ব্যাপক হারে বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস), শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস)। অন্যদিকে, আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ব্যাংক ঋণ কমার পাশাপাশি মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ার ফলে সৃষ্ট আর্থিক ক্ষতির পরিমাণও উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে ওয়ালটনের শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৬.৬৭ টাকা, যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল নেগেটিভ ১.৫২ টাকা। প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির এনএভিপিএস দাঁড়িয়েছে পুনর্মূল্যায়ন ব্যতীত ২৪৮.৮৮ টাকা এবং পুনর্মূল্যায়নসহ ৩৫০.৪০ টাকা। একই সময়ে কোম্পানির পরিচালন মুনাফা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২.৫৮ শতাংশ, যা আগের অর্থ বছরের একই সময়ে ছিল ১৮.৬৫ শতাংশ। প্রথম প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নেট অপারেটিং ক্যাশ ফ্লো দাঁড়িয়েছে ১৬.৬৮ টাকা।
প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির আর্থিক ব্যয়ের পরিমাণ ও শতকরা হার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় অনেক হ্রাস পেয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে বিক্রয় এবং ঋণের বিপরীতে আর্থিক ব্যয়ের শতকরা হার দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৫.২২ এবং ২.৩০ শতাংশ। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল যথাক্রমে ২১.৮১ এবং ৮.০৬ শতাংশ।
এছাড়াও মার্কিন ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রার মান কমে যাওয়ায় গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটি ২৬২.৪৬ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রার আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। সেই ক্ষতি চলতি বছরের আলোচ্য সময়ে প্রায় ৯৯.২৮ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ১.৮৯ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
এদিকে, প্রথম প্রান্তিক শেষে কোম্পানির মোট আর্থিক ব্যয় হয়েছে ৬২.৭৬ কোটি টাকা, যা পূর্বের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩২২.৪২ কোটি টাকা। ফলে, চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানির কর পরবর্তী মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৬.৭৯ শতাংশ। পূর্বের বছর একই সময়ে কোম্পানির লোকসান হয়েছিল ৩.১২ শতাংশ।