বিয়ের দেনমোহর ৫টি গাছ, প্রশংসায় ভাসছেন সুকৃতি-নাবিন দম্পতি
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৫৬ পিএম, ২২ অক্টোবর ২০২৩ রোববার
সংস্কৃতিকর্মী সুকৃতি আদিত্য সুশ্রীর শৈশব কেটেছে জাতীয় শিশুকিশোর সংগঠন খেলাঘরের ভাইবোনদের সান্নিধ্যে। সংস্কৃতিচর্চা, দেশপ্রেম ও পরোপকারী মনোভাব নিয়েই তার বেড়ে ওঠা। সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে ছোটবেলা থেকেই সে আলোচিত। এবার নিজের বিয়ের দেনমোহর নিয়ে নতুন করে আলোচনায় আসলেন এই তরুণী।
জানা গেছে, নিজের বিয়ের দেনমোহর হিসাবে বরপক্ষের কাছে সুকৃতির দাবি ছিল ৫টি ফলদ ও বনজ বৃক্ষের চারা। বরও বিয়ের আসরে তার হাতে তুলে দিয়েছেন ৫টি চারাগাছ। বিষয়টি নিতান্তই প্রতীকী নয়। কাবিননামাতেও দেনমোহরের উল্লেখ করা হয়েছে ৫টি গাছের আর্থিক মূল্য ৩০১ টাকা।
এমন ব্যতিক্রমী বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে নাটোরের দিঘাপতিয়ার উত্তরা গণভবন এলাকায়। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) এই দম্পতির বিয়ে পড়ান স্থানীয় কাজি খন্দকার শামীম ও মওলানা আবুল কালাম আজাদ।
মাওলানা ও কাজি জানিয়েছেন, বিয়েতে গাছ দেনমোহর দেয়াতে ইসলাম ধর্মের নিষেধাজ্ঞা নেই। দেন মোহর হচ্ছে কনের হক, কনের সন্তূষ্টি। কনে যেটা দাবি করবে আর বর যেটি দিতে সামর্থ্যবান সেটিই আসলে দেনমোহর।
সুকৃতি বলেন, বর্তমানে অনেক বিয়েতে দেনমোহর নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতাটা চলছে। আমার মনে হয় তা থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। কারণ বিয়ে মানেই আর্থিক লেনদেনটা মূখ্য না। দুটি মানুষের মনের মিল হওয়াটাই বড় ব্যাপার।
নাবিন বলেন, দেনমোহরের বিষয়বস্তুটা হচ্ছে নিরাপত্তা। আমার কাছে মনে হয় যে আমাদের নিরাপত্তার চাইতে পরিবেশের নিরাপত্তা বেশি জরুরি। তবে এটা একটা প্রতীকী ব্যাপার। এর বাইরে বিশেষ কিছু নয়।
কনের বাবা এম আসলাম লিটন জানান, তার মেয়ে সুকৃতি আদিত্য সিন্ধান্ত নিয়েছিল যে, বিয়েতে সে মোহরানা নেবে না। নিলেও সে একটা টোকেন নিতে চায়। বাবা হিসেবে তিনি সুকৃতির সেই সিন্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন।