অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

কূটনীতিক প্রত্যাহার নিয়ে কানাডার অভিযোগের কড়া সমালোচনায় ভারত

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:১০ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০২৩ শুক্রবার  

শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা নিয়ে কূটনৈতিক টানাপোড়েন চলছে ভারত ও কানাডার। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ভারত থেকে ৪১ কূটনীতিককে সরিয়েছে কানাডা। ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে দিল্লি। শুক্রবার দেশটি বলেছে, নয়াদিল্লি এবং অটোয়াতে পারস্পরিক কূটনৈতিক উপস্থিতিতে সমতা চেয়ে ভারতে কোনও আন্তর্জাতিক নিয়ম লঙ্ঘন করা হয়নি।

কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘনের জন্য ভারতকে অভিযুক্ত করে কানাডা ৪১ জন কূটনীতিককে প্রত্যাহার করার কয়েক ঘণ্টা পরেই এই বিবৃতি এসেছে। খবর এনডিটিভির।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক নিয়মের লঙ্ঘন হিসেবে সমতার বাস্তবায়নকে চিত্রিত করার যে কোনও প্রচেষ্টা আমরা প্রত্যাখ্যান করি। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবস্থা বলতে গেলে, ভারতে অনেক বেশি সংখ্যক কানাডিয়ান কূটনীতিক এবং আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তাদের ক্রমাগত হস্তক্ষেপ নয়াদিল্লি এবং অটোয়াতে পারস্পরিক কূটনৈতিক উপস্থিতিতে সমতা নিশ্চিত করে।’

এর আগে কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি ঘোষণা করেছিলেন, ভারত থেকে ৪১ জন কূটনীতিককে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেছিলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে ভারত আগামীকালের (২০ অক্টোবর) মধ্যে দিল্লিতে ২১ কানাডিয়ান কূটনীতিক এবং আশ্রিত ব্যক্তি ব্যতীত সকলের জন্য অনৈতিকভাবে কূটনৈতিক অনাক্রম্যতা অপসারণ করার পরিকল্পনা আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দিয়েছে। এর মানে হল ৪১ কানাডিয়ান কূটনীতিক এবং তাদের ওপর নির্ভরশীল ৪২ জনের খূটনীতিক অনাক্রম্যতা কেড়ে নেওয়ার ঝুঁকিতে ছিল। এটি তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘কূটনীতিক অনাক্রম্যতা থাকার কারণে কূটনীতিকরা যেই দেশের দায়িত্বে থাকে সেখানে নির্ভয়ে কাজ করতে পারে। এটি কূটনীতির একটি মৌলিক নীতি এবং দ্বিমুখী রাস্তা। এই নিয়ম ততক্ষণই বহাল থাকে যতক্ষণ প্রতিটি দেশ সেই নিয়ম মেনে চলে। একতরফাভাবে কূটনৈতিক বিশেষাধিকার এবং অনাক্রম্যতা প্রত্যাহার আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী। এটি কূটনৈতিক সম্পর্কের ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এটি করার হুমকি দেওয়া অযৌক্তিক এবং উস্কানিমূলক।’

কানাডা মুম্বাই, চণ্ডীগড় এবং বেঙ্গালুরুর কনস্যুলেটগুলোতেও সমস্ত ব্যক্তিগত পরিষেবা স্থগিত করেছে এবং এই তিনটি শহরে তার নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছে। ভারতের সমস্ত কানাডিয়ানদের সাহায্যের প্রয়োজন হলে নয়াদিল্লিতে হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারতীয় এজেন্ট এবং খালিস্তানি নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার মধ্যে সম্ভাব্য যোগসূত্রের বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ বলে উল্লেখ করার পরে ভারত গত মাসে কানাডাকে তার কূটনৈতিক উপস্থিতি কমাতে বলেছিল।

তবে ভারত এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে।