আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি মিলতে পারে ডিসেম্বরে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৪:৪৬ পিএম, ১৯ অক্টোবর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
বাংলাদেশ ডিসেম্বরে আইএমএফের দ্বিতীয় কিস্তির ঋণ পাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি পাওয়া প্রসঙ্গে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র।
আইএমএফের ঋণের দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮১ মিলিয়ন ডলার পাওয়ার বিষয়ে মেজবাউল হক বলেন, আইএমএফ নতুন করে কোনো শর্ত দেয়নি উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক আইএমএফের দেওয়া আগের শর্তগুলো পূরণে কাজ করছে। প্রধান ছয়টি শর্তের মধ্যে রিজার্ভ আর রাজস্ব বাদে সব শর্ত পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ। আপাতত রিজার্ভ বৃদ্ধি ও রাজস্ব আহরণে জোর দিতে বলেছে আইএমএফ। ইতোমধ্যেই শর্ত মেনে সিঙ্গেল এক্সচেঞ্জ রেট চালু করা হয়েছে। কিছু শর্ত পূরণ করা সময়সাপেক্ষ। তবে সেক্ষেত্রেও কাজ চলছে।
আইএমএফের সংস্কারে বাংলাদেশের বড় অর্জন জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের ওপরে থাকা বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বর্তমানে বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৬ দশমিক ৬৮ বিলিয়ন ডলার। দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘রিজার্ভে ডলার রেখে বসে থেকে তো লাভ নেই। রিজার্ভ থেকে অর্থ খরচ করা অব্যাহত থাকবে। মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস আমদানি করতে চাইলে রিজার্ভ থেকে অর্থ খরচের কোনো বিকল্প নেই।’
মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনার বিষয়ে মেজবাউল হক বলেন, অবস্থা বুঝে ধাপে ধাপে অর্থনৈতিক পলিসিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে ডিসেম্বরের আগে মূল্যস্ফীতির হার ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে।
তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি কমতে শুরু করলে এটি দ্রুত কমতে থাকবে। যারা পণ্য ধরে রেখেছে তারা ছেড়ে দেবে। এতে মূল্যস্ফীতি কমে আসবে।
পলিসি রিফর্মের বিষয়ে মেজবাউল হক বলেন, ‘যখন যে রিফর্ম বা সংশোধন প্রয়োজন বাংলাদেশ ব্যাংক করবে। বিশেষ করে পলিসি এক্সচেঞ্জ রেট রিফর্মের থেকে বড় রিফর্ম আর নেই। নির্বাচনের জন্য আমরা বসে থাকিনি। যখন যে রিফর্মের প্রয়োজন হয়েছে, আমরা নিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘অর্থ পাচার রোধ এবং সুশাসন নিশ্চিতে সরকারের অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক একযোগে কাজ করছে। কাজেই অর্থ পাচার বন্ধে আইএমএফের শর্তের দরকার নেই। একটি দেশ হিসেবে আমরা নিজের জায়গা থেকেই এটি বন্ধ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’