দিল্লি কি বলে দিয়েছে জোর করেই নির্বাচন ঘোষণা করে দাও: কাদেরকে ফখরুল
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৬:৫৪ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২৩ বুধবার
‘তলে তলে আপস হয়ে গেছে। আমেরিকার দিল্লিকে দরকার। দিল্লি আছে, আমরাও আছি’— ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দিল্লি আছে, আমরাও আছি, আমরা আছি দিল্লিও আছে, কি বুঝাতে চাইছেন? দিল্লি কি আপনাদের জানিয়েছে যে এভাবে অপকর্ম করতে থাক? দিল্লি কি বলে দিয়েছে দরকার নাই নির্বাচনের? দিল্লি কি বলে দিয়েছে জোর করেই নির্বাচন ঘোষণা করে দাও? তাহলে পরিষ্কার করে বলেন?
বুধবার (০৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনিস্টিটিউটে পেশাজীবীদের এক কনভেনশনে তিনি এসব কথা বলেন।
এরআগে মঙ্গলবার সাভারের আমিনবাজারে দলীয় সমাবেশে এমন বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। যা নিয়ে দলের ভেতরে-বাইরে অনেকে সমালোচনা করছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ এতো বেশি পা চাটা হয়ে গেছে যে তাদের সাধারণ সম্পাদক বলছেন ভয় নাই, ও রে ভয় নাই –তলে তলে আপস হয়ে গেছে। তাহলে স্বীকার করলেন এত দিনে আপস ছিল না? আসলে আপনাদের মতো এতো বড় মিথ্যাবাদী পৃথিবীতে খুঁজে পাবেন না। এর আগে তাদের পররাষ্টমন্ত্রী বলেছিল- আলোচনা হয়েছে, আসলে কোনো আলোচনা হয়নি। বলেছে বৈঠক হয়েছে, আসলে কোনো বৈঠকও হয়নি। ছবি তোলার জন্য কত লবিং করেছে সেটা আমরা সবাই জানি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, রং হেডেড পারসন অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসে আছে। তাদের কোনো বৈধতা নেই। তাদের যেমন দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না, গণতান্ত্রিক বিশ্বের মানুষও বলে দিয়েছে তোমাদের আমরা আর বিশ্বাস করি না। যেসব দেশ সারাবিশ্বে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপে দেখতে চায়-তারা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়নি ও ২০১৮ সালেও কোনো নির্বাচন হয়নি। এবারও তাদের অধীনে কোনো নির্বাচন হতে পারে না-তাদের অধীনের কোনো নির্বাচনকে কখনো বৈধতা দেওয়া হবে না।
লন্ডনে শেখ হাসিনার বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, তার কথা এত কুরুচিপূর্ণ যা নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। তবে তিনি তার বক্তব্যে কয়েকটি সত্য কথা বলে দিয়েছেন। তা হলো এদেশে যা কিছু ঘটে তা শেখ হাসিনার ইঙ্গিতে ঘটে। খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার স্বীকারোক্তিতে তা প্রমাণিত হয়ে গেছে। এতে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে এদেশে বিচার বিভাগের কোনো প্রয়োজন নাই। শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই হলো সিদ্ধান্ত। এখন শেখ হাসিনাকে নিজেকে নিজে সম্রাট ঘোষণা দিলে পারে।
এসময় ফখরুল বলেন, প্রায় ২ বছর ধরে আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে আন্দোলন করছি, ইতোমধ্যে অমাদের ২২ জন নেতাকর্মী শহীদ হয়েছে এ চলমান আন্দোলনে। এখনও আমাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ, কিন্তু একথা বলি নাই- আপনারা বাধা দিয়ে এ আন্দোলন সব সময় শান্তিপূর্ণ থাকবে
খালেদা জিয়াকে অনুপ্রেরণা আখ্যায়িত করে ফখরুল বলেন, খালেদা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছে গণতন্ত্রে পুনরুদ্ধারের সাথে কোনো আপস নেই, কোনো শর্ত নাই, ১/১১ এর সময় অন্যরা দেশের বাহিরে গেছে কিন্তু আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়া দেশের মাঠি ছেড়ে যায়নি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কথার জবাবে বলেন, ৪০১ ধারায় স্পষ্ট বলা আছে সরকার চাইলে আইনের মধ্যে যেকোনো নাগরিকের সাজা মওকুফ করে দিতে পারে, কিন্তু তারা এখন মিথ্যাচার করছে। তাহলে আওয়ামী লীগ সরাসরি বললেই তো পারে তারা খালেদা জিয়াকে হত্যা করতে চায়।