মিথ্যাবাদী চেনার সহজ উপায়
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ৪ অক্টোবর ২০২৩ বুধবার
দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োজনের তাগিদে আমরা অনেকেই মিথ্যার আশ্রয় নেই। অপ্রয়োজনীয় বা অতিরঞ্জিত মিথ্যা বলাটা অনেকেরই অভ্যাস। আর এ ধরনের মিথ্যা শনাক্ত করতে পারা অনেক কঠিন। মিথ্যা কথা বলাটা অনেকের কাছেই একটা বাজে অভ্যাসের মতো। প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে অনেক সময়েই মিথ্যা কথা বলে থাকেন অনেক মানুষই। অনেক সময় বোঝাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, কে মিথ্যা বলছে আর কেই বা সত্যি বলছে।
চোখের মণির নড়াচড়া
বলা হয়ে থাকে চোখে চোখ রেখে যারা কথা বলতে পারেন তাদের সৎ সাহস রয়েছে। অপরদিকে যারা মিথ্যা বলেন, তাদের চোখের মণি নড়াচড়া করে।
চোখের পাতা ঘন ঘন ফেলা
মিথ্যা বলার সময় পরপর পাঁচ-ছয়বার খুব দ্রুত চোখের পাতা ফেলা খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার। মানুষ সাধারণত প্রতি মিনিটে পাঁচ থেকে ছয় বার, অর্থাৎ প্রতি ১০ থেকে ১২ সেকেন্ডে একবার চোখের পাতা ফেলে। কিন্তু যখন কেউ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে মানসিক চাপের মধ্যে থাকে, তখন সেই ব্যক্তি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে খুব ঘন ঘন পাঁচ-ছ’বার চোখের পাতা ফেলতে পারেন।
দৃষ্টি সরিয়ে নেয়া বা একদৃষ্টে তাকিয়ে থাকা
মিথ্যা কথা বলার সময় চোখে চোখ রেখে কথা বলার মতো মানসিক শক্তি অর্জন করাটা অধিকাংশ মানুষের কাছেই কঠিন কাজ। ধরা পড়ার ভয়ে চোখ ফিরিয়ে নেয়, অন্য কিছুর দিকে তাকিয়ে কথা বলে।
এক সেকেন্ডের বেশি সময় ধরে চোখ বন্ধ রাখা
স্বাভাবিকভাবে মানুষের চোখের পাতা ফেলতে ১০০ থেকে ৪০০ মিলি সেকেন্ড অর্থাৎ সেকেন্ডের ১০ ভাগের ১ ভাগ থেকে ৪ ভাগ সময়ের মধ্যে চোখের পাতা পড়ে। কিন্তু মিথ্যা বলার সময় মানুষ আত্মরক্ষার কৌশলে চলে যায়। ফলে সে সময় অনেকে অধিক সময় ধরে চোখ বন্ধ রাখতে পারেন। প্রশ্নের উত্তর দেয়ার আগে সে ১ থেকে ২ সেকেন্ড পর্যন্ত চোখ বন্ধ করে রাখতে পারে।
নকল হাসি দেওয়া
শ্রোতাকে আশ্বস্ত করতে অনেকে কৃত্রিম হাসি দিয়ে মিথ্যা ঢাকতে চায়, তার বিশ্বাস অর্জন করতে চায়।
দ্রুত নিশ্বাস নেওয়া: মিথ্যা কথা বলার সময় মানসিক চাপের কারণে মানুষের হার্টবিট বেড়ে যায়। ফলে হার্টে বেশি রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন হয়। একারণেই মিথ্যা বলার সময় মানুষের শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যায়। এছাড়াও মিথ্যা বলার সময় কেউ যদি চুইংগাম চিবোতে থাকে, তাহলে তার চিবোনোর হার দ্রুত হয়ে যায়। ধূমপান করার সময় মিথ্যা বলতে শুরু করলে সিগারেট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে।
হাত-পায় নড়াচড়া
মিথ্যা কথা বলার সময় অনেককে হাতের আংটি, ব্রেসলেট, ঘড়ি, কলম ইত্যাদি ধরে নাড়াচাড়া করতে বা ঘুরাতে দেখা যায়। মেয়েদের সাধারণত এ সময় হাত দিয়ে চুল প্যাঁচাতে দেখা যায়। অনেকে হাতের তালু দিয়ে পায়ের উপর ঘষতে থাকেন।