ভ্রমণকাহিনী: ইরানি গোলেস্তান আর ঝর্ণার গল্প
শাওলী মাহবুব, শিক্ষক ও গবেষক
প্রকাশিত: ০১:৪৫ এএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার আপডেট: ০১:০৫ এএম, ৪ জানুয়ারি ২০২১ সোমবার
পাঠ করবার দীর্ঘ তিরিশ বছর পর, অস্কার ওয়াইল্ডের “রোজ এন্ড দ্য নাইটিংগেল” ছোট গল্পের মাধুর্য মরমে প্রবেশ করলো আমার। তবে এর জন্য পাড়ি দিতে হয়েছে কয়েক হাজার মাইল। ইরানের গোরগান ন্যাশনাল পার্কের গভীর বনে প্রবেশের পর সেই প্রেম আমি উপলব্ধি করেছি। অস্কার ওয়াইল্ডের গল্পটিতে মনুষ্যপ্রেমের চাইতেও মুখ্য হয়ে উঠেছে প্রকৃতির ত্যাগ আর মহিমা। কী গভীর মায়ায় ছোট্ট এক নাইটিংগেল প্রেমিক-হৃদয়ের আকুতি শুনেছে, গোলাপ গাছের কাছে আর্তি জানিয়েছে এক রক্তলাল গোলাপের আর মেনে নিয়েছে নিজের মৃত্যু পরোয়ানা! গোলাপের কাঁটা নিজবুকে ফুটিয়ে, চাঁদের আলো আর নিজের গানের সুর দিয়ে, প্রেমিকের জন্য রাতভর তৈরি করেছে এক লালগোলাপ; যে গোলাপ ছাড়া প্রেমাস্পদ নাচতে চায়নি তার প্রণয়প্রার্থীর সাথে। যে ওক গাছটিতে নাইটিংগেলের বাসা ছিলো, যেখানে সে গান গাইতো প্রাণ ভরে; ছোট্ট সে নাইটিংগেলের জন্য ওক গাছটির বিয়োগবেদনা এক কথায় অনবদ্য। প্রকৃতি বন্দনার ক্যারিশমা সেখানেই। অবশেষে, নাইটিংগেল তার প্রাণের বিনিময়ে রক্তগোলাপ ফুটিয়েছিলো ঠিকই কিন্তু সেই প্রাণ সংহারী, রক্তরাঙানো গোলাপেও দয়িতার প্রাণ উষ্ণ হয়নি। গোলাপ ছুঁড়ে ফেলে ও প্রেমিক হৃদয় দলে, চলে গেছে সে বিত্তসম্পন্ন আরেকজনের হাত ধরে। গোরগান ন্যাশনাল পার্কের গভীর বনে যখন দেখলাম শ’খানেক বুনো গোলাপ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে; বুঝেছিলাম কত গভীর প্রেমে ও শ্রমে মানুষের জন্য পসরা সাজায় প্রকৃতি। আর আমরা মানুষেরা অবলীলায় পায়ে দলে যাই সেই প্রেম।
করোনার কারণে দীর্ঘ সময় আটকে থাকার পর ২০২০ সালের মে মাসে সুযোগ মিলেছিলো ইরানের গোলেস্তান প্রদেশ ঘুরতে যাবার। গোলেস্তান সোমাল বা উত্তর ইরানের এক প্রদেশ। এ প্রদেশের রাজধানী গোরগানে সভ্যতা বিকাশের ইতিহাস প্রায় ছয় হাজার বছরের। ফারসি “গোল” শব্দের অর্থ ফুল। আর ইরানে বসন্ত মানেই হাজার ফুলের মেলা। মনে মনে ধরে নিলাম, বসন্তে গোলেস্তান যাচ্ছি মানেই ফুলের দেশে যাচ্ছি। তেহরান থেকে গোলেস্তান পৌঁছাতে পাঁচ ঘন্টা লেগে গেলো। গোলেস্তানে এসে বুঝলাম সবুজ এক স্বর্গে পৌঁছে গেছি।
একদিনে অনেক ক’টি স্থান ঘুরতে হবে, তাই ছোট্ট কাগজে লিখে নিলাম দর্শনীয় স্থানসমূহের নাম। আমাদের প্রথম গন্তব্য ছিলো গোরগান ন্যাশনাল পার্ক এবং আবুদওয়াল ঝরণা। পার্ক বলতে বনসহ সংরক্ষিত পাহাড়গুলোকে বোঝানো হয়েছে। এই বসন্তে সে পাহাড়গুলোই সবুজে ঢেকে আছে। কোথাও তা ঘন সবুজে ঢাকা, কোথাও কচি কলাপাতা রঙে নতুন নতুন পাতারা হাসি মুখে বাতাসের সাথে নাচের তাল ধরেছে।
এবার বসন্তেও তাপমাত্রা বেশ কম ছিলো ইরানে। সতোরো বা আঠারো ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠতেই দীর্ঘদিন লেগে গেলো। এখন অবশ্য আসন্ন গ্রীষ্মকে স্বাগত জানিয়ে তাপমাত্রা তিরিশ এর কোঠায় উঠে গেছে। কাজেই গাড়ির জানালা খুব বেশিক্ষণ খোলা রাখা গেলো না।
গোরগান ন্যাশনাল পার্কের ভেতর ঢুকতেই পাহাড়ের পাদদেশে এক বিশাল লেক চোখে পড়ল। আমরা যে এই লেকের মূল উৎসে যাচ্ছি, প্রথমে তা বুঝিনি। পাহাড়ি আঁকাবাঁকা পথে গাড়ি বেশ উপরে উঠে গেলো। একটা সময় গাড়ি পার্ক করে হাঁটতে শুরু করলাম আমরা। শুরু হলো আমাদের ঝর্ণা দেখা অভিযান। বাঁধিয়ে দেয়া কংক্রিটের পথ ধরে চলতে শুরু করলাম। পথের একপাশে সবুজ ঘন পাহাড়ি বন, আরেক পাশে বনের ভেতর চলতে থাকা ঝর্ণা।
পথটি চলতে চলতেই পাহাড়ের উচ্চতার সাথে তাল মিলিয়ে সিঁড়ি ভেঙে উপরে চলে গেছে। আমরা সেই ধাপগুলো অনুসরণ করতে শুরু করলাম। পথের যে পাশ ঘেঁষে ঝর্ণা বয়ে গেছে, সেখানে একটা দুটো ইরানি পরিবারকে দেখলাম ঝর্ণা পেরিয়ে পাহাড়-জঙ্গলের ধার ঘেঁষে মাদুর পেতে বসে গেছে। তাদের সাথে কম বয়সি ছেলেমেয়েও রয়েছে। আমার বাঙালি মন তখনই হাহতোস্মিকরে উঠল। কারণ আর কিছু না, পোকামাকড়ের ভয়। কিন্তু গত দু’বছরে ইরানিদেরও আমার চেনা হয়ে গেছে। যারা কিনা রাস্তার যেকোন স্থানে গাড়ি থামিয়ে মাদুর পেতে খাবার খেয়ে নিতে পারে, যেকোন পাহাড়ের গায়ে তাবু ফেলে মুহূর্তে যাযাবর বনে যেতে পারে, ঝর্নার পাশে সোফাসমেত ঘর পেতে রাখে কেউ এসে বিশ্রাম নেবে সে আমন্ত্রণ জানিয়ে, তাদের কাছে এ ঘটনা মোটেই “আহামরি” কিছু নয়।
দীর্ঘ তিন মাস ইরানিরা করোনা-লকডাউনে ছিল। এ জাতির জন্য যা রীতিমতো অবিশ্বাস্য। কাজেই ঝর্ণা পেয়ে, তারা যে আনন্দে মেতে উঠবে, তা বলাবাহুল্য। আমরা বরং তাদের আনন্দের সাথে নিজেদের আনন্দ মিলিয়ে ধাপ ভেঙে ভেঙে উপরে উঠতে শুরু করলাম।
প্রতিটি ধাপে আলাদা আনন্দ দাঁড়িয়েছিলো। একটু করে উপরে উঠতে উঠতে টের পেলাম ঝর্ণার পানির তীব্রতা বাড়ছে। ধাপগুলোর কিছু দূর পর পর বেশ ক’টি ছোট আকৃতির ব্রিজ পাওয়া গেলো। ছবি তোলার জন্য পর্যটকদের বেশ সুবিধাই হয়েছে এতে। যতো উপরে উঠছিলাম শব্দ ততো বাড়ছিল। ঝর্ণায় পৌঁছুলাম। বেশ মোটা ধারায় নেমে আসছিল স্নিগ্ধ, নিটোল আর স্বচ্ছ পানি। সাথে পাখির গান, বনের হিম হিম ঠান্ডা বাতাস। আর কি চাই! সাথে থাকা স্বামী, কন্যা জুতো-সমেত পাথর ডিঙিয়ে ঝর্ণার ছোট হ্রদ পেরিয়ে অন্য পাশে গেলেন; আরও একটু উচুঁতে ঝর্ণার কাছাকাছি যাবার জন্য। আমিও চিন্তা করছিলাম জুতো পায়ে ওপারে যাবো কিনা। কিন্তু এতো সুন্দর স্বচ্ছ পানি! কোথাও কোথাও পায়ের গেড়ো ছাড়াবে না সে গভীরতা। কাজেই দ্বিধা ভেঙে আমার খোলা পায়ের পাতা স্পর্শ করল আবুদওয়ালের হিমশীতল টলটলে জল। তারপর চুপচাপ ডুবে রইল আরামে। সে আরাম পৌঁছে গেলো আমার নিউরনের কোষে কোষে।
এখানে আমরা একা ছিলাম না। আরও তিন চারটি ইরানি পর্যটক দল ছিলেন। ইরানি বাচ্চারাও মহানন্দে লাফ ঝাঁপ করছিলো। গভীরতা তেমন নেই বলে বাবা মাও নির্ভয়ে ছেড়ে দিয়েছেন। এরই মধ্যে চার বছরের এক ইরানি বালিকা আমার হাত ধরে ফেলল। একটু গভীর পানিতে যেতে চায় সে। কেমন নির্ভয়ে আমার হাত ধরেই সে গভীর পানিটুকু ঘুরে ফেলল। আমার স্বামী বেশ সাহস করে মূল ঝর্ণাটির উপরে উঠে গেলেন। ওখানে এক ইরানি ভদ্রলোক আগে থেকেই দাঁড়ানো ছিলেন। চটপট তাদের কিছু ছবি আমরা ড্রোণ ক্যামেরায় তুলে নিলাম।
এর পরের গন্তব্য জঙ্গলে আবর বা মেঘের জঙ্গল। পাহাড়ের ধার ঘেঁষে ঘেঁষে চলতে থাকা পথ এবার চলে গেলো মেঘের দেশে। ঘন বনের ভেতর দিয়ে নির্জন রাস্তা। প্রথম দিকে বাঁধানো রাস্তা পেলেও একটা সময় ফুরিয়ে এলো সে পথ। এরপর রুক্ষ, পাথুরে পথ দিয়ে চলতে লাগল গাড়ি। একদিকে পাহাড় আর অন্যপাশের পাহাড়ী ঢালে সবুজ লম্বা নাম না জানা গাছ। দেখতে দেখতেই ভাবছিলাম হেমন্তে যখন পাতারা বর্ণিল হতে শুরু করবে, তখন নির্ঘাতএ বনে রঙের আগুন লেগে যাবে।
আহা! সে সৌন্দর্য দেখার ইচ্ছে বুকে চেপে সামনে এগুলাম। এখনও আফসোসের কিছু নেই, কারণ এটা বাহার বা বসন্ত। ফুলের সাজে সেজে আছে পুরো বন। বেশির ভাগ ফুলই সাদা। থোকায় থোকায় ফুটে আছে সব এবং খুব আকস্মিক ভাবে এক ফুলের ঝাড়ে আমি গাড়ি থামাতে বাধ্য করলাম। অন্তত শ’খানেক ফুল নিয়ে এক বুনো গোলাপ দাঁড়িয়ে ছিলো রাস্তার ধারে। পথে একবার এক ঝলক নজর পড়েছিল তার রূপে। কিন্তু এবার আমাকে সে বাধ্য করল তার কাছে যেতে। তিনহাজার ফুট উপরের গভীর জঙ্গলে, গাড়ি থামিয়ে এমন রূপের মুগ্ধতায় খালি পায়েই কঙ্করক্লিষ্ট পথে দৌড়ে গেছি তাকে ছুঁয়ে দেবার জন্য। খুব সরল পাঁচটি সাদা পাপড়ি মেলে দেয়া। কিন্তু তাতেই তারকা বনে গেছে সে। তার ফারসি নামটিও বাংলাদেশে ব্যাপক পরিচিত- ‘নাসরিন’। ঝটপট তার কিছু ছবি তুলে নিলাম। আমার মনে পড়ল অস্কার ওয়াইল্ডের “রোজ এন্ড দ্য নাইটিংগেল” গল্পের কথা। প্রকৃতি যেন আমাদের মনোরঞ্জনের জন্যই গোলাপগুলোকে ফুটিয়ে রেখেছে!!! আর, আমরা সবসময়ই উপেক্ষা করে গেছি সে সৌন্দর্য।
ফিরতি পথে আরও কিছু অবাক করা ফুলের সাথে দেখা। এক পাহাড় জুড়ে দেখা মিলল বুনো নীল-ঘাস ফুলের। সবুজ ঘাসে নীল ফুল - নীলরঙের এক কার্পেট যেন। আবার বেশ ক’টি পাহাড় জুড়ে ছোট ছোট ঝোপ। আর ঝোপজুড়ে বেগুনি ফুলের উল্লাস। শুধু ভাবতে থাকুন, পাহাড়ের পর পাহাড় জুড়ে এমন বেগুনি ফুলের ছোট ছোট ঝোপ। আমাদের ভ্রমণ ক্লান্তি নিমিষে দূর হয়ে গেলো।
পরের গন্তব্য ঠিক হলো হযরত বায়েজিদ বোস্তামির (রাঃ) বাস্তাম নগরী এবং অবশ্যই তাঁর মাজার প্রাঙ্গণে যাওয়া। বায়েজিদ বোস্তামির মাতৃভক্তি সর্বজনবিদিত। আমরা সবাই জানি তাঁর কাহিনী। একরাতে তাঁর মা ঘুম ভেঙে পানি পান করতে চাইলেন। কিন্তু ঘরে পানি না থাকায় বায়েজিদ পানি আনতে বেরুলেন রাত দুপুরে। কোন প্রতিবেশিকেও তিনি বিরক্ত করতে চাইলেন না। দূরের এক ঝর্ণা থেকে পানি ভরে তিনি ঘরে ফিরলেন। ছেলেবেলায় যখন এ কাহিনী পড়েছি তখন ভাবতাম ঘরের কাছে কীভাবে ঝর্না থাকে! ইরানে এসে জানলাম, পাহাড়ি ঝর্ণাগুলো আসলে এখানে পানির অন্যতম উৎস। যাহোক, বায়েজিদ পানি এনে দেখলেন মা আর জেগে নেই, আবারো ঘুমিয়ে গেছেন। মায়ের ঘুম না ভাঙিয়ে বালক বায়েজিদ মায়ের কাছে সারারাত দাঁড়িয়ে রইলেন পানির গ্লাস হাতে করে - যদি মা আবার উঠে পানি পান করতে চান সেই উদ্বিগ্নতায়। রাত পেরিয়ে সকাল হলে মায়ের ঘুম ভাঙল এবং তিনি বিস্মিত হলেন এ দৃশ্য অবলোকন করে যে, বায়েজিদ পানির গ্লাস হাতে নিয়ে তার কাছে দাঁড়িয়ে আছে। মায়ের প্রতি এই ভালোবাসা দেখে তিনি আবেগে উদ্বেলিত হয়ে পড়লেন এবং তাঁকে দোয়া করলেন। বায়েজিদ বোস্তামি পরবর্তীতে সুফী সাধক হয়েছিলেন। ৮০৪ সালে তিনি জন্মেছিলেন ইরানের বাস্তাম নগরীতে। সে কারণেই তাঁর নাম বাস্তামী। তাঁকে সমাহিত করা হয়েছে এখানেই।
আমরা যখন ওখানে মাজার প্রাঙ্গণে পৌঁছাই তখন প্রায় বিকেল হয়ে গেছে। করোনায় সামাজিক দূরত্ব পালনের কারণে মাজারের প্রবেশ পথ বন্ধ করা ছিলো। প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে আমাদের একটু সময় লাগলো। বায়েজিদ বোস্তামি (রাঃ) এর মাজার খোলা আকাশের নীচে। মার্বেল পাথরে বাঁধানো মাজারটির উপরে ফারসিতে কিছু লেখা রয়েছে। মাজারের একদিকের বিল্ডিংয়ের ভেতর ছোট একটি রুম। তাতে জায়নামাজ বিছানো। যেনো বা এখুনি কেউ নামাজ থেকে উঠে গেছেন। আমাদের কে জানানো হলো এখানেই বায়েজিদ বোস্তামি (রাঃ) নামাজ আদায় করতেন।
এই প্রাঙ্গণের ভেতর আরেকটি গুরুতপূর্ণ মাজার রয়েছে। ইমাম জাফর সাদেগ আলী (এস) এর ছেলে ইমাম জাদেহ মুহাম্মদ এর মাজারটিও এ প্রাঙ্গণেই। মনে করা হয় উনারা হযরত মুহম্মদ (সঃ) এর বংশধর। উনার মাজারটি একটা বিল্ডিং এর ভেতর এবং অত্যন্ত সুসজ্জিত। সবগুলো মাজারে ফাতেহা পাঠ করে আমরা তেহরানের পথ ধরলাম।
বাস্তাম নগর থেকে তেহরানে পৌঁছানোর হাইওয়েটি অসম্ভব সুন্দর। ফিরতি পথেই আরো এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো। ইরানে লবন খনি আছে, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের যাওয়া হয়নি কখনও। চলতি পথেই দেখলাম, কোথাও রাস্তার পাশে অথবা কখনো আবার পাহাড়গুলো সাদা হয়ে আছে লবনে।
গাড়ি থেকে নেমে একবার লবন চাখবার লোভ সামলানো গেলো না। সূর্য ঢলে পড়ার সময় আলবোর্জ পাহাড়ের মাথায় মেঘসূর্যের লুকোচুরিতে, অবাক করা সব দৃশ্যের অবতারণা ঘটল। দীর্ঘ পথে যেতে যেতে, দূর মরুভূমির হাতছানিতে মনে হলো আবার কবে, আবার কবে এমন মরু পথে, এমন পাহাড়ি পথে যাযাবর হবো!
লেখক: অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়