অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে ডেঙ্গুর টিকার অনুমোদন নেওয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪২ পিএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার  

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্বের কোনো দেশেই ডেঙ্গুর কার্যকর টিকা নেই। তবে, বাংলাদেশে আইসিডিডিআর,বির তৈরি ডেঙ্গুর টিকা চারটি ভাইরাসেই কার্যকর বলে শোনা যাচ্ছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কাছ থেকে এ টিকার অনুমোদন নেওয়া হবে।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানিকগঞ্জে নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুর টিকা নিয়ে বিশ্বজুড়েই গবেষণা চলছে। ইতোমধ্যে দুটি টিকা আবিষ্কারও হয়েছে। কিন্তু সেই টিকা সব ভাইরাসের ক্ষেত্রে কার্যকর নয়। এতে অনেক সমস্যা আছে। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের তৈরি টিকার সফল পরীক্ষা সত্যিই আশা জাগায়। ঢাকায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল আছে। ঢাকার বাইরে ডেঙ্গুর সংক্রমণ বেশি। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে এখন প্রায় ৯ হাজার রোগী চিকিৎসাধীন। ডেঙ্গু চিকিৎসায় এখন স্যালাইনের কোনো ঘাটতি নেই। আমরা মন্ত্রণালয় থেকে সাত লাখ ব্যাগ স্যালাইন আমদানির অনুমোদন দিয়েছিলাম। এর মধ্যে তিন লাখ ব্যাগ স্যালাইন চলে এসেছে। বাকি চার লাখ ব্যাগ স্যালাইনের চালানও দ্রুত চলে আসবে। প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন রিসিভ করছি। এ ছাড়া বেসরকারি ওষুধ উৎপাদন কোম্পানিগুলো স্যালাইনের উৎপাদন বাড়িয়েছে। আমি যতটুকু তথ্য পেয়েছি তারা মাসে ৫৩ লাখ ব্যাগ স্যালাইন উৎপাদন করতে পারবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিমাসে ডেঙ্গু জন্য প্রয়োজন ২০ লাখ ব্যাগ স্যালাইন। ডেঙ্গু আক্রান্তের হার যদি বর্তমানের চেয়ে বেড়ে যায় সে ক্ষেত্রে স্যালাইনের প্রয়োজন হবে ৩০ লাখ ব্যাগ। সে কারণে আমি মনে করি এখন আর তেমন ঘাটতি নাই। আমরা চাই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমে যাক। এ জন্য জনসাধারণকে সচেতন হতে হবে। প্রতিদিন ডেঙ্গু পরীক্ষা করতে হবে। অনেক সময় দেরি করে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ফলে রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা কঠিন হয়ে যায়। তাই, যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব ডেঙ্গু পরীক্ষা ও চিকিৎসা নেওয়া প্রয়োজন।

জাহিদ মালিক আরও বলেন, জাতিসংঘের এবারের সাধারণ অধিবেশনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরমধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ের অনেক দিক নিয়ে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে সভা হয়েছে। সারাবিশ্বে করোনা মহামারি হয়েছে। আগামীতে কোনো ধরনের মহামারি আসলে সেটি কি উপায়ে প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।