শান্তর লড়াইয়ের পর ১৭১ রানে অলআউট বাংলাদেশ
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার
ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজ মানেই যেন বাংলাদেশের একক আধিপত্য। অন্তত গত ১৫ বছরের পরিসংখ্যান সে কথাই বলে। তবে এবার সিরিজ হারের শঙ্কায় স্বাগতিকরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষার সিরিজ হলেও শেষ ম্যাচ জিতে সমতায় তা শেষ করতে চায় বাংলাদেশ। এমন ম্যাচে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। তবে লাল-সবুজের দলে আজও সঙ্গী ছিল ব্যাটিং বিপর্যয়। বিশ্বকাপের আগে শেষ এই আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষিক্ত অধিনায়ক শান্ত ছাড়া বড় ইনিংস খেলতে পারেনি আর কেউই। চোট থেকে ফিরে আসা এই ব্যাটারের ৭৬ রানের ইনিংসে ভর করেই শেষ পর্যন্ত ৩৪.৩ ওভারে ১৭১ রানে অলআউট বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে টাগারদের হয়ে ওপেনিংয়ে আসেন অভিষেক হওয়া জাকির হাসান ও তানজিদ তামিম। তবে ওয়ানডে অভিষেকটা সুখকর হয়নি জাকিরের। পেসার অ্যাডাম মিলনের বলে ৫ বলে ১ রান করে আউট হয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এরপর বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেনি আরেক ওপেনার তামিমও। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের ট্রেন্ট বোল্টের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ফলে শুরুতেই দলীয় আট রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে বিপাকে পরে বাংলাদেশ। চতুর্থ উইকেটে তাওহীদ হৃদয়কে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামলে ওঠার চেষ্টায় ছিলেন অধিনায়ক শান্ত। কিন্তু তাও সফল হয়নি। দুজন মিলে স্কোরবোর্ডে ২৭ রান তুলতেই ব্যক্তিগত ১৮ রানে সাজঘরে ফিরেন হৃদয়।
হৃদয় আউট হওয়ার পর ক্রিজে শান্তর সঙ্গী হন মুশফিকুর রহিম। এ দুজনের ব্যাটেই আজ বিপর্যয় সামলে ওঠে বাংলাদেশ। মুশফিক-শান্ত জুটি দলীয় সংগ্রহে যোগ করেন ৫৩ রান। এদিকে জুটি বড় হলেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারেননি মুশফিক।
লকি ফার্গুসনের করা বল প্রথমে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের ব্যাটে লেগে আঘাত করে স্ট্যাম্পে। ফলে মুশফিককেও ফিরতে হয় মাত্র ১৮ রান করেই। এদিকে এক প্রান্তে যাওয়া-আসার খেলা চলতে থাকলেও অপর প্রান্তে লড়াইয়ে চালিয়ে গেছেন শান্ত। মুশফিকের বিদায়ের পর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গেও আরও একটি বড় জুটি গড়েছিলেন তিনি। এ দুজনের জুটিতে স্কোরবোর্ডে যোগ হয় ৪৯ রান।
তবে ২৭ বলে ২১ রান করে মাহমুদউল্লাহ ফেরার পর শেখ মেহেদীও ফিরেছেন ব্যর্থ হয়েই। এরপর শান্তও ৭৬ রানে ফিরলে পরে আর বেশি দূর এগোতে পারেনি বাংলাদেশ। অল আউট হয় মাত্র ৩৪.৩ ওভারে ১৭১ রান করেই। কিউইদের হয়ে বল হাতে চারটি উইকেট নিয়েছেন অ্যাডাম মিলনে।