ডেঙ্গুতে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন মধ্য বয়সীরা : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৫:১০ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ রোববার
ডেঙ্গুতে এ বছর মধ্য বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার বলেন, সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মধ্যে আক্রান্তের হার ৮ শতাংশ। এ বছরের জুলাই, আগস্ট এবং চলতি সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ ছিল সবচেয়ে বেশি। জুলাই মাসে ছিল ৪৩ হাজার ৮৫৪ জন, মৃত্যু হয়েছিল ২০৪ জনের। আগস্ট মাসে রোগী ছিল ৭১ হাজার ৯৭৬ জন, মৃত্যু ছিল ৩৪২ জনের এবং সেপ্টেম্বর মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ৬০ হাজার ৯০৯ জন। আর মৃত্যু হয়েছে ৩০০ জনের। চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭১৭ জন। ২০১৯ সালে ডেঙ্গুতে মোট আক্রান্ত ছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন। এ বছর শেষ হওয়ার আগেই যে সংখ্যক ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে তা ২০১৯ সালের তুলনায় অনেক বেশি।
তিনি বলেন, আমাদের ঢাকা সিটি এলাকায় সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু রোগী। ঢাকার বাইরে সারাদেশে আমাদের আটটি বিভাগীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি রোগী ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বরিশাল বিভাগে। ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী জেলায় বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। চট্টগ্রাম বিভাগের চট্টগ্রাম এবং লক্ষ্মীপুর জেলা এবং বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পটুয়াখালী জেলায় বেশি ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে। তবে রংপুর, সিলেট, ময়মনসিংহে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক আরও বলেন, সারাদেশের সব জেলা, উপজেলা হাসপাতালসহ বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে একই প্রটোকল এবং গাইডলাইন অনুসরণ করে ডেঙ্গু চিকিৎসা হচ্ছে। মাঠ পর্যায়ের সব চিকিৎসককে আমাদের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু চিকিৎসা এবং পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টবিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য সব জায়গাতেই পর্যাপ্ত পরিমাণ এনএস-১ কিট মজুত রয়েছে। ডেঙ্গু পেশেন্ট ম্যানেজমেন্টে সবচেয়ে বেশি যেটি প্রয়োজন সেটি হলো আইভি ফ্লুইড স্যালাইন।
তিনি বলেন, স্যালাইন নিয়ে সাময়িক একটা সমস্যা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে জরুরিভাবে ভারত থেকে তিন লাখ প্যাক স্যালাইন আমদানি করা হয়েছে। এরমধ্যে ৪৪ হাজার প্যাক স্যালাইন হাতে পেয়েছি। এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) মাধ্যমে এসব স্যালাইন চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বাকি স্যালাইনগুলো পর্যায়ক্রমে পৌঁছানো হবে। এ মুহূর্তে আমাদের কোনো স্যালাইনের সমস্যা নেই। এই তিন লাখ ছাড়াও আরও কিছু স্যালাইন আমদানির প্রক্রিয়া চলছে, সেগুলো অনুমোদনের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। সবমিলিয়ে স্যালাইন নিয়ে আর কোনো সংকট হবে না।