মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য সরকার দায়ী : ফখরুল
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শনিবার
বাংলাদেশে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনা বাংলাদেশের জন্য ‘লজ্জাজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এ নিষেধাজ্ঞার জন্য সরকার এককভাবে দায়ী।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যকে তিনি এসব কথা বলেন। ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার এখন বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে।
নিষেধাজ্ঞার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে। মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে।বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নির্যাতন, গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এসব কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রকম পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে।’
এ বিষয়ে বিএনপি চিন্তিত কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এ নিয়ে বিএনপি চিন্তিত নয়। সরকারের কারণেই এ ধরনের পরিস্থিতি হয়েছে। ফলে ক্ষমতাসীনদের জন্যই এটি চিন্তার বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এসে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ এসেছে। এটি আমাদের দেশের জন্য প্রাপ্য নয়।
যুক্তরাষ্ট্রের এম পদক্ষেপের পর দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা- এমন প্রশ্নে বিএনপির এই নেতা বলেন, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সরকারের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন এখনো হয়নি। আসলে এখন সরকার কী করবে, সেটা তাদের ওপর নির্ভর করছে।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা শুরু করছে দেশটি। শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক বিবৃতিতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রক্রিয়া শুরুর কথা জানান।
মার্কিন এই ভিসানীতির আওতায় পরা ব্যক্তিরা মার্কিন ভিসার জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারেন। এই তালিকায় থাকতে পারেন বাংলাদেশের বর্তমান ও সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, বিরোধী ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা।
দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে বাংলাদেশের যে লক্ষ্য তাকে সমর্থন করতেই আজকের এই পদক্ষেপ।
এ ছাড়া যারা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সমর্থন করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এর আগে গত ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।