নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলো পাকিস্তান
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৪৬ পিএম, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ জানিয়েছে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি)। বৃহস্পতিবার এ নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। খবর জিও নিউজের।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছেম নতুন অদমশুমারি ও সীমানা পুননির্ধারণের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর এটি প্রকাশ করা হতে পারে।
ইসিপি জানিয়েছে, তারা সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিষয়টি আজ পর্যালোচনা করেছে। আজ এ সিদ্ধান্ত হয়েছে যে রিপোর্ট প্রকাশের পর অভিযোগের ভিত্তিতে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে সেসব সমাধান করা হবে। এরপর চূড়ান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে।
কমিশনের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ৫৪ দিনের নির্বাচনী তপশিল শেষ হওয়ার পরে ২০২৪ সালের জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
জানুয়ারির শেষে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন
নওয়াজ শরিফ বলেছেন / ভারত যখন চাঁদে যাচ্ছে পাকিস্তান তখন ভিক্ষা করে বেড়াচ্ছে
এর আগে পাকিস্তানের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেন, কাউন্সিল অব দ্য কমন ইন্টারেস্টে (সিসিআই) নতুন জনশুমারি অনুমোদন ও নির্বাচন কমিশনের (ইসিপি) সংসদীয় এলাকা পুনঃনির্ধারণের জন্য নির্বাচনন মার্চ পর্যন্ত পেছাতে পারে। তিনি বলেন, সংসদীয় সীমানা নির্ধারণের পর ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ বা মার্চের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।
রানা সানাউল্লাহ বলেন, গত ৫ আগস্ট সিসিআইয়ের বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে ২০২৩ সালের ডিজিটাল জনশুমারির একটি প্রস্তাবনা গৃহীত হয়েছে। যার ফলে চলতি বছরের অক্টোবরের শুরুতে বা নভেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা থাকলেও সেটি পেছাতে পারে। কেননা নির্বাচন কমিশনের জনশুমারি অনুসারে সংসদীয় সীমানা পুনঃনির্ধারণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
সিসিআইয়ের বরাতে সানাউল্লাহ বলেন, আমার মতে নির্বাচনের আগে সীমানা পুনঃনির্ধারণ হলো সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা। সাংবিধান অনুসারে, একটি জনশুমারির ভিত্তিতে দুটি নির্বাচন হতে পারে না। ফলে নির্বাচনের জন্য নতুন শুমারি প্রয়োজন। এজন্য নির্বাচন পেছাতে পারে।
এর আগে গত ৩ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে জোট শরিকদের সঙ্গে এক নৈশভোজে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মেয়াদ শেষের আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। তিনি জানান, পাকিস্তানের সংসদের জাতীয় পরিষদ আগামী ৯ আগস্ট ভেঙে দেওয়া হবে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুযায়ী, স্বাভাবিকভাবে সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৬০ দিন পর সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই সংসদ ভেঙে দেওয়া হলে নির্বাচন আয়োজনের তারিখ ৯০ দিন পর্যন্ত বাড়ানো যাবে।