ত্বকের যত্নে শসার ৫টি ব্যবহার
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৩৮ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার
ত্বক নরম এবং আর্দ্র রাখতে শসার জুড়ি নেই। শসাতে রয়েছে ত্বক উজ্জ্বল করার বিশেষ ক্ষমতা। ডার্ক সার্কলের সমস্যায় বেশ বহুদিন ধরেই ব্যবহার হয়ে আসছে শসা। ডার্ক সার্কলের সমস্যা থাকলে, নিয়মিত শসা ব্যবহার করতে পারেন। এতে ফলও পাবেন একেবারে হাতেনাতে। শুধু চাতকির মতো কেটে শসা দুই চোখের উপর দিয়ে রাখুন। আর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর সরিয়ে ফেলুন। মুখ ধোয়াও লাগবে না। শুধু কি তাই। ত্বকের অন্যান্য সমস্যা সমাধান করে এই শসা।
শসা দিয়ে পিউরি বানিয়ে নিতে পারেন। এটা করতে অর্ধেক শসা কুচি নিয়ে তাতে ৩ টেবিল চামচ গোলাপজল মিশিয়ে নিন। তারপর ২ টেবিল চামচ ডিস্টিলড ওয়াটার মিশিয়ে স্প্রে বোতলে ভরে রেখে দিতে পারেন। দিনে একবার তুলায় করে মিশ্রণটি মুখে লাগান। তাহলে ত্বক অনেক বেশি ঠান্ডা, ফ্রেশ এবং আর্দ্র থাকবে।
খানিকটা শসার রসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে টোটকা বানিয়ে নিন। এটা প্রতিদিন ত্বকে লাগান। দেখবেন নিমেষে ত্বকে জেল্লা ফুটে উঠবে। শসার রস, অল্প অ্যাপল সিডার ভিনিগার, অ্যালোভেরা জেল এবং টমেটো রস মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করবে। একই সঙ্গে অ্যাকনে বা ব্রন থেকে বাঁচাবে। আবার ত্বকে যদি কোনও ইনগ্রোন হেয়ার থাকে, সেক্ষেত্রেও ব্যবহার করতে পারেন এটি। ঐ স্থানে লাগান। নিয়মিত ব্যবহারে মিলবে উপকার।
ত্বকের দৃঢ়তা বজায় রাখতে একটি মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্য একটা শসার খোসা ছাড়িয়ে বেটে নিন। তার মধ্যে আস্ত একটি কাগজি লেবুর রস নিন। মিশিয়ে নিতে হবে ১ চা-চামচ মধু। ব্যস তৈরি। এবার চোখের অংশ বাদ দিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন মিশ্রণটি। ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের দৃঢ়তা বজায় রাখতে ও উজ্জ্বল করতে এই মাস্ক ম্যাজিকের মতো কাজ করবে।
ত্বকের ট্যান দূর, কোমল ও মসৃণ করতে শসার তৈরি আর একটি মাস্ক ভালো কাজে দেবে। তার জন্য ২ টেবিল চামচ ওটসগুঁড়া, ২ চা-চামচ টকদই, ২ চা-চামচ মুলতানি মাটি এবং ২ চা-চামচ শসার রস একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। রোদ থেকে ঘরে ফিরে পুরো মুখে লাগিয়ে নিন মিশ্রণটি। ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্ক ফ্রিজে রাখলে ২০ দিন ব্যবহার করতে পারবেন।
২ টেবিল চামচ শসার রসের সঙ্গে সামান্য পরিমাণে ডিমের সাদা অংশ ও ১ চা-চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তারপর পুরো মুখে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে কমে যাবে বলিরেখা ও ত্বক হবে টানটান।
সবার ত্বকের ধরন তো এক নয়। তাই ত্বকের ধরন বুঝে মাস্ক বাছুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য যে মাস্ক কার্যকরী হবে, শুষ্ক ত্বকের জন্য তা মোটেও কার্যকরী হবে না। তাই স্বাভাবিক ত্বকের জন্য ১ চা-চামচ ওটসের মধ্যে খানিকটা শসার টুকরা মিশিয়ে দিন। আধঘণ্টা পর মিশ্রণ মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য আধকাপ শসা-কুচির সঙ্গে অর্ধেক অ্যাভোকাডো, একটা ডিমের সাদা এবং ২ চা-চামচ গুঁড়া দুধ মিশিয়ে ফেটিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে আধঘণ্টা রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য অর্ধেক শসার সঙ্গে ১ টেবিল চামচ টকদই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।