সফল হতে পাগলামি প্রয়োজন: নাওয়াজুদ্দিন
বিনোদন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২০ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার আপডেট: ১২:২৪ পিএম, ৯ ডিসেম্বর ২০২০ বুধবার
বলিউডে একটি প্রথা ছিল অভিনয় করতে হলে অবশ্যই সুদর্শন ও সুঠাম দেহের অধিকারী হতে হবে। তবে জানতাম এখানে সব প্রথা ভাঙবো আমি।
এ কথা বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় নায়ক নাওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকির। যিনি সত্যিই ভেঙেছেন সিনেমা জগতের অনেক প্রথা। প্রথাগত শারীরিক সৌন্দর্য্যর মতো বিষয় উপেক্ষা করে, অভিনীত প্রতিটি চরিত্র জীবন্ত উপস্থাপন করে নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়।
কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করার পর অভিনয় করতে এসে একসময় নাওয়াজুদ্দিন কাজ করেছেন দারোয়ান হিসেবে। পরবর্তীতে দিল্লির বিখ্যাত ন্যাশনাল স্কুল অব ড্রামা থেকে বের হয়ে দেখিয়েছেন নিজের অভিনয় ক্যারিশমা।
অভিনয়ের পথচলা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ২০০০ সালে আমি মুম্বাই আসি মুজাফ্ফরনগর নামক গ্রাম থেকে, যেখানে বিদ্যুত ছিলনা। প্রথম ১৫ দিন মুম্বাই এসে আমি খুবই নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু জানতাম এখান থেকে ফিরে যাওয়ার কোন সুযোগ নেই আমার। নিজের সফলতার জন্য আমি কোনো তারিখ বা টার্গেট সেট করিনি। আমি শুধু নিজের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
এক ভিডিও বার্তায় নাওয়াজুদ্দিন জানান অডিশন দিতে গেলে কীভাবে প্রত্যেকটা অফিসের স্টাফরা তাকে নিয়ে ঠাট্টা করতো। তিনি বলেন ‘এমনটা আমার সাথে বেশ কয়েকবার হয়েছে। আমি ৫ ফিট ৬ ইঞ্চি উচ্চতার, তারপরও কেউ বিশ্বাস করতোনা আমাকে দিয়ে ভালো কিছু সম্ভব। তবে আমি জানতাম হয়তো ৩০ বছর লাগতে পারে তবে অবশ্যই আমি সফল হবো।
সেক্রেড গেম তারকা বলেন, অভিনয় ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছা আমার মনে কখনই আসেনি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি কেউ যদি আত্মবিশ্বাসী হয় এবং জিদ নিয়ে নিজের মনের ইচ্ছাপূরণে কাজ করে তবে অবশ্যই পৃথিবী একদিন তাকে সম্মান জানাবে।
এসময় নাওয়াজ আরও বলেন, আমি মানুষকে পর্যবেক্ষণ করতে পছন্দ করি। প্রতিটি মুখ অনেক গল্প বলে। এতে করে আমি মানুষের আবেগ বুঝতে পারি, যা আমার অভিনয়ে কাজে আসে।