ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ, আমদানির সিদ্ধান্ত
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০১:০০ পিএম, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার
অনেকদিন ধরেই বাজারে ডিমের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কয়েক দিনের ব্যবধানে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে নিত্যপণ্যটির দাম। লাগাম টানতে অভিযান পরিচালনাসহ সরকারের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও কমানো যায়নি আমিষের চাহিদা পূরণে স্বল্প আয়ের মানুষের পছন্দের পণ্যটির দাম। মূল্য কমাতে অবশেষে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া খুচরা পর্যায়ে প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
মন্ত্রী বলেন, প্রথমে অল্প পরিমাণ ডিম আমদানি করা হবে। এরপরও যদি দাম না নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে ব্যাপক আকারে আমদানি করা হবে।
করোনাকাল শুরুর আগে ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ঢাকার বাজারে এক হালি ডিমের দাম ছিল ২৮ থেকে ৩০ টাকা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর মূলত ডিমের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। কিছুদিন পণ্যটির দাম বাড়ানো-কমানোর মধ্যে থাকলেও গত জুলাই থেকে মূলত ডিমের দাম বাড়তে থাকে।
জুন মাসের শুরুতে খোলা বাজারে এক হালি ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম ছিল ৩২ টাকা, যা জুলাইয়ে ৩৬ টাকায় পৌঁছায়। আগস্টে ডজন ১৫০ টাকা ছাড়িয়ে যায়। এরপর থেকে কখনো দাম ১০ টাকা বেড়েছে, কখনো কমেছে। কিন্তু বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
নিত্যপণ্যটি এত বেশি দামে কিনে খাওয়ার কথা স্মরণ করতে পারছেন না দেশবাসী। পণ্যটির দাম নাগালের বাইরে যাওয়ায় সহজলভ্য এই প্রাণিজ আমিষ খেতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। এমন অবস্থায় সরকারের পক্ষ থেকে দাম কমাতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা বলা হয়। অভিযানে নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরও। কয়েকদিন অভিযান চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হলেও তেমন কাজ হয়নি। এখনো কোথাও এক ডজন ডিম ১৫৫ টাকা, কোথাও ১৬০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিতে ডিম আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এছাড়া ডিম, আলু ও পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ করা করে দেয় সরকার। সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে এসব পণ্য নির্ধারিত দামেই পাওয়া যাবে।
টিপু মুনশি বলেন, ডিমের দাম ১২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া প্যাকেটজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৬৯ টাকা আর খোলা তেল পাওয়া যাবে ১৪৯ টাকায়। ডিম ও তেলের পাশাপাশি আলুর দামও নির্ধারণ করা হয়েছে। খুচরা বাজারে আলু পাওয়া যাবে কেজি প্রতি ৩৬ টাকা করে।