অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

কী ঘটেছিল সেদিন, মুখ খুললেন এডিসি সানজিদা

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:৪১ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার  

এডিসি সানজিদা আফরিন

এডিসি সানজিদা আফরিন

থানায় ছাত্রলীগ নেতাদের পিটিয়ে বরখাস্ত হয়েছেন রমনার সাবেক এডিসি হারুন। বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের ৩৩ ব্যাচের এক নারী কর্মকর্তার সঙ্গে ৩১ ব্যাচের কর্মকর্তা হারুনের ‘সম্পর্কে’র জের ধরে ঘটনার সূত্রপাত। 

ঘটনার কয়েকদিন পর সেই রাতে কী ঘটেছিল এসব বিষয়ে মুখ খুলেছেন এডিসি হারুনের সঙ্গে থানা ডিএমপির ক্রাইম বিভাগে অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানজিদা আফরিন। মঙ্গলবার বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেন তিনি।

সানজিদা বলেন, আমার কয়েক মাস ধরে কার্ডিয়াক সমস্যা হচ্ছিল, এই সমস্যা আমার ২০১৯ সাল থেকে ছিলো, কিন্তু ডাক্তার দেখানোর সময় পাচ্ছিলাম না। সেদিন অবসর সময় থাকায় এডিসি হারুন স্যারকে ফোন করে ইব্রাহিম কার্ডিয়াকে ডাক্তারের সিরিয়াল ব্যবস্থা করে দিতে বলি। পরে তিনি ওসিকে দিয়ে একজন চিকিৎসকের সিরিয়াল ব্যবস্থা করে দেন। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যা ৬টার পর হাসপাতালে যাই। গিয়ে দেখি যে চিকিৎসকের ম্যানেজ করা হয়েছে তিনি কনফারেন্সে আছেন। এ বিষয় হারুন স্যারকে জানালে তিনি কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসেন এবং একজন ডাক্তার ম্যানেজ করে দেন।

তিনি বলেন, ডাক্তার দেখানোর পর আমকে বেশ কিছু টেস্ট করতে বলেন। ইকো, ইসিজি টেস্ট করে আমি ইটিটি রুমে যাই। সেখানে পরীক্ষা করাতে আমার ২০ থেকে ২৫ মিনিট সময় লাগে। হঠাৎ করে ইটিটি রুমের বাইরে হট্টোগোল শুনতে পাই। এসময় আমার হাসবেন্ডের গলা শুনতে পাই। পরে কয়েকজন মিলে এডিসি হারুন স্যারকে মারতে মারতে ইটিটি রুমে নিয়ে আসে। সেখানে বেশ কয়েকজন ছেলে ছিল। আমি তাদের কাউকে চিনি না।

ঘটনার সময় সানজিদা ইটিটি রুমে ছিলেন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, যখন স্যারকে তারা মারছিলেন তখন আমি ইটিটি রুমে টেস্ট করার পোশাকে ছিলাম। স্বাভাবিক অস্থায় পোশাকটা খুব শালীন অবস্থায় ছিল না। এর মধ্যে আমার হাসবেন্ড ওই ছেলেগুলোকে বলে ওদের ভিডিও কর। একটা ছেলে যখন ভিডিও করছিল তখন আমি বুঝতে পারি তাদের কোন অসৎ উদ্দেশ্য আছে। তাই আমি ওই ছেলের মোবাইল ফোন নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। এ সময় আমার হাসবেন্ড আমার গায়ে বেশ কয়েকবার হাত তোলে। এরপর আমি যারা ভিডিও করছে তাদের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে তাদের হাতের সঙ্গে লেগে আমার হাতেও আমি সামান্য ব্যথা পাই। কারণ আমি চাচ্ছিলাম না সেই অবস্থায় কেউ আমার ভিডিও করুক। আর আমার হাজব্যান্ডের সঙ্গে যেসব ছেলে ছিল আমি তাদের কাউকে চিনতামও না।

এডিসি সানজিদা বলেন, হারুন স্যারকে যখন মারছিল স্যার তাদের হাত থেকে বাঁচতে ভিতরে অবস্থান করেন। স্যারকে বার বার বলছিলো বাইরে বের হতে। স্যার তখন বলে আমি বের হলে তো আপনারা আমাকে মেরে ফেলবেন। পরে স্যার থানায় কল দেওয়ার ১০-১৫ মিনিট পর ফোর্স আসে। পরে তারা নিচে চলে যায়।