স্বপ্নের নায়ক সালমান শাহকে হারানোর ২৭ বছর
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৪৯ পিএম, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার
বাংলা চলচ্চিত্রের ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহ। দেখতে দেখতে তার মৃত্যুর ২৭ বছর পার হয়ে গেছে। মাত্র ২৫ বছর বয়সেই ১৯৯৬ সালের আজকের এই দিনে অসংখ্য ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান তিনি।
আজ থেকে ঠিক ২৭ বছর আগে, ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যমৃত্যু ঘটে। তবে এ নায়কের মৃত্যুজট আজো খোলেনি।
দফায় দফায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। তবে এতে সন্তুষ্ট নন নায়কের পরিবার কিংবা ভক্তরা। কেননা, এসব তদন্ত প্রতিবেদনে বার বারই বলা হয়েছে, সালমান শাহ আত্মহত্যা করেছেন।
সালমান শাহর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা থাকলেও তার জনপ্রিয়তা এতোটুকু কমেনি। তার অভিনয় দক্ষতা কিংবা স্টাইল ছিল যুগের চেয়েও অনেক এগিয়ে। নব্বই দশক হোক কিংবা এ প্রজন্ম, সবার কাছেই প্রিয় নাম সালমান শাহ।
বলা হয়, সালমান শাহ নব্বই দশকে দেশের চলচ্চিত্রে নতুন একটি ধারার সূচনা করেছিলেন। চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি মানেই ছিল নিশ্চিত সাফল্য। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের উপচে পড়া ভিড়। তিনি কোনো কালের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলেন না। তার ফ্যাশন সচেতনতা, স্টাইলিশ চলাফেরা সবসময়ের জন্য প্রযোজ্য। ভক্তদের চোখে তিনি ছিলেন ‘স্বপ্নের নায়ক’।
ক্ষণজন্মা এ নায়ক ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মাতা নীলা চৌধুরী। সালমানের পুরো নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন।
টেলিভিশন নাটক দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু হলেও নব্বই দশকে সালমান শাহ চলচ্চিত্রে অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী। সবাই যখন অ্যাকশন সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত, তখন রোমান্টিক স্টোরি ভিন্ন আঙ্গিকে দর্শকের সামনে হাজির করেন এ অভিনেতা।
টেলিভিশন নাটক দিয়ে অভিনয়জীবন শুরু হলেও নব্বই দশকে সালমান শাহ চলচ্চিত্রে অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী। সংগৃহীত ছবি
মঈনুল আহসান সাবেরের লেখা ধারাবাহিক ‘পাথর সময়’-এ একটি চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে সালমান শাহর অভিনয়ে অভিষেক হয়েছিল। পরবর্তীতে আরও বেশকিছু নাটকে অভিনয় করেন। এ ছাড়া ১৯৯৩ সালে সালমান শাহ অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দর্শকমহলে অনেক প্রশংসা পায়। এ অভিনেতা সর্বমোট ২৭টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং সবকটিই ছিল ব্যবসাসফল।
সালমানই একমাত্র নায়ক, সর্বমহলে যিনি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে এবং তরুণদের স্টাইল আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিলেন। শিক্ষিত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির দর্শকদের হলে গিয়ে ছবি দেখার অনভ্যাস দূর করেছিলেন সালমান শাহ।
সালমানই একমাত্র নায়ক, সর্বমহলে যিনি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি করতে এবং তরুণদের স্টাইল আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পেরেছিলেন। সংগৃহীত ছবি
সালমান শাহর উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে: সব পাখি ঘরে ফিরে (১৯৮৫), সৈকতে সারস (১৯৮৮), নয়ন (১৯৯৫) প্রভৃতি।
এ ছাড়া এ অভিনেতার উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে: সুজন-সখী (১৯৯৪), বিক্ষোভ (১৯৯৪), স্বপ্নের ঠিকানা (১৯৯৪), মহামিলন (১৯৯৫), বিচার হবে (১৯৯৬), তোমাকে চাই (১৯৯৬), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬), জীবন সংসার (১৯৯৬), চাওয়া থেকে পাওয়া (১৯৯৬), প্রেম পিয়াসী (১৯৯৭), স্বপ্নের নায়ক (১৯৯৭), আনন্দ অশ্রু (১৯৯৭), বুকের ভিতর আগুন (১৯৯৭) প্রভৃতি।