অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ফরিদপুর-রাজবাড়ী রুটে ৩ দিন ধরে বাস চলাচল বন্ধ

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ০২:৪৬ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ শুক্রবার  

ফরিদপুর ও রাজবাড়ীর বাস শ্রমিকদের দ্বন্দ্বে দুই রুটে সরাসরি বাস চলাচল গত তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। রাজবাড়ী সীমানায় তাদের বাস চলাচল করলেও ফরিদপুর সীমানায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। 

এতে বাস থেকে নেমে বাধ্য হয়ে মাহেন্দ্র-অটোরিকশায় (থ্রি-হুইলার) চলাচল করতে হচ্ছে যাত্রীদের। এ কারণে মালামাল নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। 

বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত ফরিদপুর থেকে সরাসরি রাজবাড়ী-গোয়ালন্দ বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।

পুলিশ প্রশাসন বলছে, সমস্যা হয়েছে দুই জেলার মালিক ও শ্রমিক সমিতির মধ্যে। তাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করে নিতে বলা হয়েছে। 

তবে ফরিদপুর বাস মালিকের এক নেতা বলেন, এ উদ্যোগ তাদের পক্ষ থেকে কিংবা রাজবাড়ীর পক্ষ থেকে নেওয়ার চাইতে প্রশাসন নিলে সমস্যার দ্রুত সমাধান সম্ভব।

জানা যায়, ফরিদপুর ও রাজবাড়ী শহর থেকে প্রতিদিন সকাল ৬টায় রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের উদ্দেশ্যে বাস ছেড়ে যায়। প্রতি ১০ মিনিট পর পর একটি করে বাস ছাড়ে। রাত ৮টা পর্যন্ত এভাবে বাস চলতে থাকে। অপরদিকে ফরিদপুর থেকে দৌলতদিয়ার বাস চলাচল করে আধা ঘণ্টা পর পর।

ফরিদপুর ও রাজবাড়ী পথে প্রতিদিন অন্তত ৮০ বার বাস চলাচল করে। সকাল ৬টা থেকে বাস চলা শুরু হয় এবং রাত ৮টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। অপরদিকে ফরিদপুর থেকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া পথে প্রতিদিন ৪০ বার বাস চলাচল করে। গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে এই দুই পথে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ থাকায় এ পথে চলাচলকারী যাত্রীদের দুর্ভোগের মুখে পড়তে হয়।

ফরিদপুর শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার বিকালে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় এলাকায় রাজবাড়ী ও ফরিদপুরের বাস শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে এক জেলার বাস অন্য জেলার সীমানায় ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। 

রাজবাড়ী জেলা সড়ক পরিবহণ মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লিটন বলেন, গত মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুর থেকে রাজবাড়ীর একটি বাস ফিরিয়ে দেয় সেখানকার বাস মালিক সমিতি। এরই প্রতিবাদে ৩০ আগস্ট সকাল থেকে কোনো বাস ফরিদপুরে যাবে না মর্মে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের একটি সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সিদ্ধান্ত হলে বাস চলাচল শুরু করা হবে।

ফরিদপুর বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান বলেন, গত বুধবার রাতে একটি সিদ্ধান্ত হয়েছিল দুই জেলার বাসগুলো নিজ নিজ জেলার সীমান্ত এলাকা পর্যন্ত যাবে। কিন্তু পরে চিন্তা করে দেখা যায়, এতে যাত্রী কম হবে, তেল খরচ উঠবে না এবং যাত্রীদের ভোগান্তি হবে। এ বিবেচনা করে ফরিদপুরে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।

ফরিদপুরের ট্রাফিক পুলিশ পরিদর্শক তুহিন লস্কর বলেন, দুই জেলার পরিবহণ মালিক ও শ্রমিকরা বসে গত বুধবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তারা নিজ নিজ জেলার শেষ সীমানা পর্যন্ত বাস চালাবেন। তবে রাজবাড়ী এ সিদ্ধান্ত মেনে ফরিদপুরের সীমান্ত পর্যন্ত বাস চলাচল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু করলেও ফরিদপুর থেকে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।