অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ‍উঠলো ইন্দোনেশিয়া

ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:০১ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার   আপডেট: ০৩:০৩ পিএম, ২৯ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার

ইন্দোনেশিয়ার বালি ও লম্বক দ্বীপপুঞ্জে রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান-মেডিটেরিনিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার (ইএমএসসি)। শক্তিশালী এই ভূমিকম্পের পর সেখানকার বাসিন্দারা আতঙ্কে ঘর-বাড়ি ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে আসেন।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

ইএমএসসি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল ইন্দোনেশিয়ার মাতারাম থেকে ২০৩ কিলোমিটার (১২৬ মাইল) উত্তরে এবং ভূপৃষ্ঠের ৫১৬ কিলোমিটার নীচে খুব গভীরে।

অবশ্য ইন্দোনেশিয়া এবং মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থাগুলা মঙ্গলবার ভোরে আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ৭.১ ছিল বলে জানিয়েছে। এই ঘটনায় কোনোও ধরনের সুনামির সতর্কতা জারি করা হয়নি।

ইন্দোনেশিয়ার ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানায়, বালি এবং লম্বকের উপকূলীয় অঞ্চলজুড়ে আঘাত হানা ভূমিকম্পটি মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ভোর ৪ টার আগে অনুভূত হয়। এরপরে ৬.১ এবং ৬.৫ মাত্রার আরও দুটি ভূমিকম্প অনুভূত হয় ওই অঞ্চলে।

এব্যাপারে বালির ‘মারকিউর কুটা বালি’ হোটেলের ম্যানেজার সুয়াদি মুঠোফোনে রয়টার্সকে বলেন, “কয়েক সেকেন্ডের জন্য কম্পন অনুভব করার পরে হোটেলের অতিথিরা তাদের ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা ঘরে ফিরে যান। তবে এতে বিল্ডিংয়ের কোনও ক্ষতি হয়নি।”

এদিকে ভূমিকম্পের জেরে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর পাওয়া যায়নি বলে ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ সংস্থা বিএনপিবি জানিয়েছে। বিএনপিবি মুখপাত্র আব্দুল মুহারী বলেন, “ভূমিকম্পটি ভূপৃষ্ঠের অনেক গভীরে আঘাত হেনেছে, তাই এটি হয়তো ধ্বংসাত্মক হয়নি।”

এর আগে ২০০৪ সালে ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা উপকূলে ৯ দশমিক ১ মাত্রার একটি  ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। তখন ভূমিকম্পের পরপর সুনামিও আঘাত হানে। সেসময় সুমাত্রা অঞ্চলে ভূমিকম্প ও সুনামির কারণে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটেছিল।