অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের মামলায় তরুণ গ্রেপ্তার

অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৯ পিএম, ২৭ আগস্ট ২০২৩ রোববার  

ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের করা একটি সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্ত করে খুলনার এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ২১ আগস্ট ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিটের সদস্যরা তার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

ওই তরুণের নাম মো. সামির (২০)। তার বাসা খুলনা শহরের সোনাডাঙ্গা থানার নিউমার্কেট এলাকায় এবং রাজশাহীর একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। 

গ্রেফতারের পরে আদালতের অনুমতিতে সামিরকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর গতকাল শনিবার আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তার মুঠোফোন ও ল্যাপটপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ তিন দেশের অন্তত ৩০ কিশোরীর দেড় শতাধিক নগ্ন ছবি উদ্ধার করা হয়েছে। তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মো. সামির নামের ওই তরুণ অনলাইনে সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ ডিসকর্ডে এসব কিশোরীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর ফাঁদে ফেলে তাদের নগ্ন ছবি সংগ্রহ করেছেন।

সিটিটিসি কর্মকর্তারা জানান, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মাইকেল লি গত ২৬ জুলাই গুলশান থানায় একটি জিডি করেন। তাতে অভিযোগ করা হয়, সামির পরিচয়ে বাংলাদেশের এক নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীকে প্রলুব্ধ করে তাকে দিয়ে তার পর্নো ছবি তুলে নিয়েছেন। ডিসকর্ড অ্যাপের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ওই কিশোরীর সঙ্গে সামিরের যোগাযোগ ও সম্পর্ক হয়। পরে তিনি ওই অ্যাপ এবং তার ই–মেইলে কিশোরীর তোলা পর্নো ছবি নিয়ে নেন। এরপর কিশোরীর মা যুক্তরাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার গুলশান থানায় ওই জিডি করেন মাইকেল লি। এরপর সিটিটিসিকে জিডি তদন্তের দায়িত্ব দেন ডিএমপি কমিশনার।

জিডির তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করতে গিয়ে সামির সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এরপর ২১ আগস্ট মার্কিন দূতাবাসের লি বাদী হয়ে মো. সামিরকে আসামি করে গুলশান থানায় ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।