অক্টোবরেই পাকিস্তানে ফিরছেন নওয়াজ শরিফ
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৫৬ পিএম, ২৫ আগস্ট ২০২৩ শুক্রবার
পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) সুপ্রিমো এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ১৫ অক্টোবর দেশে ফিরবেন। পারিবারিক আলোচনা থেকে এই তথ্য জানা গেছে বলে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে জিও নিউজ।
সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নওয়াজ শরিফ, শাহবাজ শরিফ এবং লন্ডনে ঘনিষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে তারিখ নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আলোচনা থেকে জানা গেছে পিএমএল-এন সুপ্রিমো অক্টোবরের মাঝামাঝি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন।
এর আগে জিও নিউজ জানিয়েছিল, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি পাকিস্তানে ফিরে আসবেন নওয়াজ শরিফ। তবে, পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে ঘোষণা করার পর তার দেশে ফেরার পরিকল্পনার পরিবর্তন হয়েছে।
তবে সূত্র বলেছে, নওয়াজের প্রত্যাবর্তন অক্টোবরের মাঝামাঝি পর্যন্ত পিছিয়েছে ইসিপি ঘোষণার কারণে নয় বরং দলীয় অনুগতদের পরামর্শের কারণে। তারা বলেছে, সেপ্টেম্বর মাসটি বড় আকারের রাজনৈতিক সমাবেশের জন্য গরম থাকবে। তাই অক্টোবরের মাঝামাঝি দেশে ফেরার উত্তম সময়।
শাহবাজ শরিফ লন্ডনে পিএমএল-এন সুপ্রিমোর সঙ্গে দুটি বৈঠক করার পরে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়ে ফিরে আসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকারের হাতে দায়িত্ব দেওয়ার পর গত রোববার লন্ডনে পৌঁছান শাহবাজ।
শরিফ পরিবারের আইনজীবী এবং রাজনৈতিক সহযোগীরা পিএমএল-এন সুপ্রিমোকে তার ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে পাকিস্তানে আসার পরামর্শ দিয়েছিলেন। তিন মাস আগে থেকে তার এই সফর শুরু হয় এবং তিন সপ্তাহ আগে লন্ডনে পৌঁছানোর মাধ্যমে তা শেষ হয়।
পাকিস্তানের বর্তমান প্রধান বিচারপতি (সিজেপি) উমর আত্তা বন্দিয়াল সেপ্টেম্বরে অবসরে যাবেন বলে জানা গেছে। তিনি অবসরে যাওয়ার পর অর্থাৎ অক্টোবরে যেন নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানে ফিরে আসেন এমনটাই চেয়েছেন তার দলের নেতারা। এমনকি শরিফ পরিবার এবং তার আইনজীবীরাও নওয়াজকে সিজেপি বন্দিয়ালের অবসরে যাওয়ার পর দেশে ফেরার পরামর্শ দিয়েছেন।
২০১৯ সালের নভেম্বর থেকে স্বাস্থ্যগত কারণে লন্ডনে স্ব-আরোপিত নির্বাসনে রয়েছেন নওয়াজ শরিফ। মূলত দুর্নীতির মামলায় আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর নওয়াজ চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান এবং তারপর থেকে তিনি সেখানেই বসবাস করছেন।
২০১৬ সালে সম্পদ গোপন করার জন্য নওয়াজ শরিফকে সুপ্রিম কোর্ট আজীবনের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে। ঘোষণার পর তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরে পিএমএল-এন সুপ্রিমোকে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর (এনএবি) দায়ের করা আল-আজিজিয়া এবং অ্যাভেনফিল্ড অ্যাপার্টমেন্ট রেফারেন্সে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। মামলাগুলো পানামা পেপারস ফাঁসের পরে আলোচনায় আসে।
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রায়ের বিরুদ্ধে তার আপিল বর্তমানে সংশ্লিষ্ট আদালতে বিচারাধীন। পিএমএল-এনের বর্তমান সভাপতি শাহবাজ শরিফ আশা করেন তার দল পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হবে এবং তিনি নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনে দলের একজন কর্মী হিসেবে কাজ করবেন।