অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

পিরোজপুরে ছেলের কবরের পাশে সাঈদীর দাফন সম্পন্ন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:৩৯ পিএম, ১৫ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার  

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) বেলা সোয়া তিনটার দিকে পিরোজপুর পৌরসভার মাছিমপুর সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে বড় ছেলে রাফিক বিন সাঈদীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। 

এর আগে দুপুর ১টা ২০ মিনিটে সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রাঙ্গণে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। এতে ইমামতি করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান।

মঙ্গলবার সকাল ১০টার কিছু পর পুলিশের কড়া পাহারায় সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে পৌঁছায়। তাকে শেষ বারের মতো দেখতে হাজার হাজার মানুষ সেখানে ভিড় করে। 

গত রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বুকে ব্যথাজনিত সমস্যার কারণে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। পরে রাত ১০টা ৪০ মিনিটে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ইন্তেকাল করেন তিনি।

সাঈদীর মৃত্যুর খবর শোনার পর গতকাল রাতে জামায়াত-শিবিরের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী ও ভক্তরা হাসপাতাল এলাকায় জড়ো হন। নেতাকর্মীরা ঢাকায় জানাজা করতে চাইলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বারণ করা হয়। অনড় অবস্থানে থাকা জামায়াতের নেতাকর্মীরা রাতভর বঙ্গবন্ধু মেডিকেলের সামনে অবস্থান নেন। পুলিশও সতর্ক অবস্থানে থাকে।

ভোররাতে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের। সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেয় জামায়াতের নেতাকর্মীরা। পরে টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে কড়া পাহারায় অ্যাম্বুলেন্সে করে সাঈদীর মরদেহ পিরোজপুরে নিয়ে যায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

এদিকে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সাঈদ অনুসারীদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।