অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে ডেঙ্গুর টিকা আনার চেষ্টা করবো: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৬:১৪ পিএম, ৭ আগস্ট ২০২৩ সোমবার   আপডেট: ০৬:১৫ পিএম, ৭ আগস্ট ২০২৩ সোমবার

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিলে ডেঙ্গুর টিকা আনার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

সোমবার (৭ আগস্ট) সচিবালয়ে জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস (এইচপিডি) টিকা প্রদান নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘এ টিকা এখনো ডেভেলপ হয়নি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদন দিলে এ টিকা আনার চেষ্টা করবো।’

তিনি বলেন, ‘আমরা দেখলাম জুলাই মাসে রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি হয়েছিল, প্রায় ৪৫ হাজার রোগী আমরা পেয়েছি। ২০২২ সালে ছিল মাত্র দেড় হাজার। এবার আগস্ট মাসে ১৫ হাজার রোগী পেয়েছি। এরই মধ্যে সব মিলিয়ে ৬৬ হাজার ৭০০ রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন, ৩১৩ জন মারা গেছেন। রোগীর সংখ্যার অনুপাতে মৃত্যুহার সেভাবে বাড়েনি। রোগীর সংখ্যা বাড়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে।’

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করতে হলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যেখানে এ মশার জন্ম হয় সেখানে স্প্রে করে লার্ভা ধংস করতে হবে। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা আছে, তাদের আমরা পরামর্শ দিয়েছি আপনারা এ প্রোগ্রাম সারাবছর চালাবেন। যেসময় ডেঙ্গু রোগী দেখা দেবে সেসময় শুধু না করে বছরব্যাপী পরিকল্পিত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করেছি।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা তো চিকিৎসা দেই, চিকিৎসা দেওয়ার জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার তা নিয়েছি। রোগীর অবস্থা হঠাৎ করে খারাপ হয়ে যায়, মৃত্যুবরণ করেন। এজন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের দরকার আছে। চিকিৎসক ও নার্সদের সেই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। জনগণকে অবহিত করছি কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়। এটা একটা মাল্টিসেক্টরাল অ্যাপ্রোচ, সবাই মিলে কাজ করতে হবে।’

‘প্রতিটি জেলা থেকে ডেঙ্গু রোগী পাচ্ছি অর্থাৎ প্রতিটি জেলায় এডিস মশা বিস্তার লাভ করেছে। কাজেই সারা দেশে এ কার্যক্রম হওয়া প্রয়োজন। শুধু ঢাকা সিটি কেন্দ্রিক নয়, সারা দেশে এডিস মশা নিধান করার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন এবং সারা বছরই এ কার্যক্রম চলমান থাকা প্রয়োজন।’ যোগ করেন মন্ত্রী।

ঢাকায় ডেঙ্গুর জন্য তিন হাজার বেড রয়েছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন রোগী ২ হাজার ১০০ জন ভর্তি আছেন। বাকি বেড খালি আছে। ঢাকার বাইরেও রোগী আছে। ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোতে ৫ হাজার বেড প্রস্তুত আছে। সারা দেশে ৯ হাজারের বেশি ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্যালাইনের প্রয়োজন আগের তুলনায় ১০ গুণ হয়ে গেছে। হাসপাতালে ভর্তি থাকা একজন রোগীর ৪/৫ ব্যাগ করে স্যালাইন লাগে। ফলে প্রতিদিন ৪০ হাজার ব্যাগ স্যালাইন লাগছে। হাসপাতালগুলো স্যালাইন জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছে কিন্তু জোগাড় হয়ে যাচ্ছে। যারা স্যালাইন তৈরি করে তাদের উৎপাদন বাড়াতে বলা হয়েছে। আশা করি স্যালাইনের জন্য চিকিৎসার ব্যাঘাত হবে না।’

‘মশা নিধনে স্প্রে করা দরকার। পৌরসভাকে আরও অ্যাকটিভ হওয়া দরকার। সিটি করপোরেশনগুলো স্প্রে করছে, এটি আরও ভালোভাবে হওয়া দরকার। কারণ মশার কামড় তো কমেনি। মশা কমানোর জন্য স্প্রে করতে হবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ডেঙ্গু আমাদের ম্যানেজ করতেই হবে। করোনায় এর থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছিল, তখনো ম্যানেজ করেছি। ডেঙ্গু যদি বাড়ে, ম্যানেজ করতে পারবো। আশা করি কমে আসবে। স্প্রে হচ্ছে, সবাই সজাগ, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন আমরা ম্যানেজ করতে পারবো।’