স্ত্রীর সঙ্গে অভিমান, নিজের গলায় গুলি চালালেন কনস্টেবল
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫২ পিএম, ৪ আগস্ট ২০২৩ শুক্রবার
দায়িত্ব পালন অবস্থায় নিজ রাইফেলের গুলিতে ফিরোজ আহম্মেদ (২৭) নামের এক পুলিশ কনস্টেবল আত্মহত্যা করেছেন। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে জেলা শহরের সোনালী ব্যাংকের সামনে পুলিশ বক্সে এ ঘটনা ঘটে।
স্ত্রীর সাথে ঝগড়ার পর অভিমান করে নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করে আত্মহত্যা করেছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। ফিরোজের বাড়ি দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর আফতাবগঞ্জ এলাকায়। তিনি ওই এলাকার আবু সাঈদের ছেলে।
ঘটনার পর পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদাসহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তপক্ষ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ছুটে যান। সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ মিয়া জানান, ফিরোজ গত ৩১ জুলাই পঞ্চগড় সোনালী ব্যাংকে গার্ডে যোগদান করেছিলন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জেলা শহরের ব্যাংকে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজ রাইফেল দিয়ে গলায় গুলি করেন। এ সময় অন্যান্য সহকর্মীরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফিরোজকে উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে নেন। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের পর ফিরোজের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান ওসি।
হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মির্জা সাইদুল ইসলাম জানান, রাত আড়াইটার দিকে তার সহকর্মীরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এ সময় তার মুখ, নাক, কান ও মাথা দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। গলার নিচে ও মাথার ওপরে একটি ক্ষত চিহৃ ছিল। সম্ভবত এটি একটি বুলেট ইনজুরি বা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অস্বাভাবিক মৃত্যু।
পুলিশ, হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ফিরোজ তার স্ত্রী উপমার সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন। এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ফিরোজ গলায় গুলি চালান। ফিরোজের স্ত্রী উপমাও পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।