সেনাবাহিনী নির্বাচন নিয়ে `আতঙ্কে`: ইমরান খান
ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৩৭ পিএম, ৩ আগস্ট ২০২৩ বৃহস্পতিবার
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান জানান আগামী নির্বাচন নিয়ে দেশটির সামরিক বাহিনী 'আতঙ্কিত' । বিবিসির হার্ডটককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
ধারণা করা হচ্ছে এই বছরের শেষের দিকে দেশটির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তিনি অভিযোগ করেন 'ফ্যাসিবাদীরা' দেশকে 'অন্ধকার যুগে' নিয়ে যাচ্ছে।
ইমরান খান ২০১৮ সালে নির্বাচিত হয়েছিলেন। চার বছরের কম সময় ক্ষমতায় ছিলেন তিনি এবং গত বছর সংসদীয় অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার একটি বড় কারণ ছিল শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর অনুগ্রহের বাইরে যাওয়া। পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী কয়েক দশক ধরে দেশটি কীভাবে পরিচালিত হয় তার ওপর কড়া নজরদারি রাখছে।
খান দাবি করেন পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দল 'একমাত্র দল যা সামরিক স্বৈরশাসকদের দ্বারা তৈরি হয়নি'। এ কারণেই তা ভেঙে দেওয়ার অভিযান চালানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তবে অনেক সমালোচক যুক্তি দেন যে খান ক্ষমতায় উত্থানের সময় সেনাবাহিনীর সমর্থন পেয়েছিলেন।
গত কয়েক মাসে, দলটির অনেক উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মী দলত্যাগ করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে খান জোর দিয়ে বলেন যে দলটি এখনো অক্ষত রয়েছে।
বিবিসির স্টিফেন স্যাকুরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'এস্টাব্লিশমেন্ট (পাকিস্তানে শক্তিশালী সামরিক বাহিনীকে বোঝাতে এস্টব্লিশমেন্ট ব্যবহৃত হয়) প্রকাশ্যে আমাদের বিরুদ্ধে গেলেও, আমাদের ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করলেও কীভাবে আমরা সরকার থেকে বেরিয়ে এসে ৩৭টি উপনির্বাচনের মধ্যে ৩০টিতে জয়ী হলাম?'
তিনি বলেন, ' এস্টাব্লিশমেন্ট আশা করেছিল যে তাকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ তার দলকে দুর্বল করবে। যখন আপনি কিছু সময়ের জন্য ক্ষমতার বাইরে থাকেন সাধারণত এটি ঘটে। কিন্তু পরিবর্তে, যা ঘটেছিল তার ফলে দলের জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।'