জুলাইয়ে রেমিট্যান্স কমেছে
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৯:১৮ পিএম, ১ আগস্ট ২০২৩ মঙ্গলবার
বিদায়ী জুলাই মাসে বিদেশে থাকা বাংলাদেশিরা ১৯৭ কোটি ৩০ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। তবে আগের মাসের তুলনায় জুলাইয়ে দেশে আসা রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ কমেছে। জুন মাসে দেশে রেমিট্যান্স আয় এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য জানাচ্ছে, জুন মাসের আয় ছিল প্রায় তিন বছরের মধ্যে কোনো একটি মাসে দেশে আসা সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয়। এর আগে ২০২০ সালের জুলাইয়ে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় এসেছিল।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কিছু ব্যাংক ঘোষণা করা দামের চেয়ে ৩-৪ টাকা বেশি দামে রেমিট্যান্স আয় কিনেছিল। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা কয়েকটি ব্যাংক পরিদর্শন করেন। এ কারণে বৈধ পথে আয় কমে গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে দেখা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে রেমিট্যান্স আয় এসেছিল ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার। ফলে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স আয় কমেছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। গত জুন মাসে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছিল প্রায় ২০ শতাংশ।
সাম্প্রতিক সময়ে ২০২০ সালের জুলাই মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আয় দেশে আসার কারণ হিসেবে হুন্ডি বন্ধ থাকার বিষয়টিকে মনে করা হয়। ব্যাংকাররা বলেন, ওই সময়ে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে পরিবহন বন্ধ থাকায় হুন্ডি বন্ধ ছিল। ফলে ব্যাংকিং চ্যানেলে বৈধ পথে আসা রেমিট্যান্স আয়ের পরিমাণ বেড়েছিল।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত দামের চেয়ে বেশি দামে রেমিট্যান্স আয় কেনা বন্ধ করে দিয়েছিল ব্যাংকগুলো। তবে ডলার-সংকটের কারণে ও বিদেশি ব্যাংকগুলোর দেনা শোধের চাপের কারণে বিদায়ী মাসে তদারকি অনেকটা শিথিল ছিল। ফলে কিছু ব্যাংক নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে রেমিট্যান্স আয়ের ডলার কেনে। এতে রেমিট্যান্স আয় বেড়ে যায়। তবে তদারকি জোরদার করায় আবার রেমিট্যান্স আয় কমে গেছে।
দেশে দীর্ঘ সময় ধরে চলা ডলার-সংকট এখনো চলছে। তবে রেমিট্যান্স আয় বৈধ পথে দেশে আনার জন্য চেষ্টা জোরদার করা হয়েছে। প্রবাসী আয়ে এখন ব্যাংকগুলো ডলারপ্রতি ১০৯ টাকা দাম দিচ্ছে। রপ্তানি বিল নগদায়নে প্রতি ডলারের বিপরীতে দাম এখন ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা এবং আমদানি ও আন্তব্যাংক লেনদেনে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা।
বিদায় নেওয়া ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে বৈধ পথে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে প্রবাসী আয় বাড়ে প্রায় ৩ শতাংশ। ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে ছিল নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি, ঋণাত্মক ১৫ দশমিক ১২ শতাংশ।