বুধবার রংপুর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, নৌকার আদলে তৈরি সভামঞ্চ
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১৮ পিএম, ৩১ জুলাই ২০২৩ সোমবার
আগামী বুধবার (২ আগস্ট) রংপুরে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেদিন রংপুর বিভাগীয় জনসভায় নৌকার আদলে নির্মিত মঞ্চে বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর এ সফরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন দাবি পূরণের আশায় বুক বেঁধেছেন রংপুরের মানুষ। সফরে গিয়ে ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর উদ্বোধনের পাশাপাশি থাকবে নতুন প্রতিশ্রুতিও।
দলীয় সূত্র জানায়, আর কয়েক মাস পরেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এর আগে আগামী দোসরা আগস্ট রংপুরে আসছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে পুরো নগরী। পাড়া-মহল্লায় ও পৌরসভায় মিছিল মিটিংয়ে চলছে আনন্দ উৎসব। জনসভা সফল করতে বাড়ছে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের আনাগোনা। শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতার অবস্থান এখন রংপুরে। এতে অনেকটাই উজ্জীবিত স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এর মাধ্যমেই আগামীতে মিলবে নির্বাচন ও দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদের টিকিট। তাই নাওয়া-খাওয়া ভুলে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিভাগের আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এক যুগ পর প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে রংপুরের আরও উন্নয়নমূলক কাজের ঘোষণা আসবে। জনসভাস্থল ১০ লাখ মানুষের উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আশা নেতাকর্মীদের।
রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক একে এম ছায়াদত হোসেন বকুল বলেন, ‘জনসভায় ১০ লাখের বেশি মানুষের সমাগমের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। জনসভায় রংপুর বিভাগের ৫৮টি উপজেলার প্রতিটি উপজেলা থেকে কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ হাজার মানুষ আনার প্রস্তুতি রয়েছে। জনসভা সফল করতে আওয়ামী লীগের বিভাগীয় বর্ধিত সভাও করা হয়েছে।’
রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের আহবায়ক ডা. দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘এক যুগ পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মাঝে আসছেন। নিশ্চয়ই উনি এখানে উন্নয়নমূলক কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।’
কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ১২ বছর পর রংপুরে আসছেন। অনেকে ভাবছেন উনি কি নিয়ে আসছেন? প্রধানমন্ত্রী আমাদের সবই দিয়েছেন। রংপুরের সব উন্নয়নেই তার অবদান।’
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবীর নানক বলেন, ‘১২ বছর পর রংপুরে প্রধানমন্ত্রী আসছেন। তিনি রংপুরের মানুষের কথা শুনবেন। উত্তরবঙ্গের এ অবহেলিত ও মঙ্গাপিড়িত জনপদকে তিনি মুক্ত করেছেন।’
নানক বলেন, মঙ্গাপিড়িত এই অঞ্চলে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে। এক যুগ পর প্রধানমন্ত্রীর আগমনে উত্তরবঙ্গের জনপদ আজ উৎফুল্ল ও আনন্দিত বলে জানান কেন্দ্রীয় ওই নেতা।