ভারতের সঙ্গে রুপিতে লেনদেন শুরু
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ০৫:০২ পিএম, ১১ জুলাই ২০২৩ মঙ্গলবার
আর্ন্তজাতিক বাণিজ্যে খুললো নতুন দ্বার। দীর্ঘ আলোচনার পর ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যে শুরু হলো রুপির ব্যবহার।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয় এই কার্যক্রমের।
এ সময় ডলার সংকট ও অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির সাম্প্রতিক দুরবস্থার চিত্র তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যে নিজস্ব মুদ্রা ব্যবহারের সম্ভাব্য সুফল নিয়েও কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, কোভিডের পর থেকে রিজার্ভের উপর অতি নির্ভরতা কমাতে দীর্ঘদিন ধরে বিকল খুঁজছিল বাংলাদেশ। এই উদ্যোগের ফলে রুপিতে এলসি খুলতে পারবেন দেশের ব্যবসায়ীরা। এতে নির্ঝঞ্ঝাট হবে পেমেন্ট, বাড়বে ভারতে পণ্য রপ্তানি।
আব্দুর রউফ তালুকদার আরও বলেন, ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বড় বাণিজ্য অংশীদার। বাংলাদেশ সেখান থেকে বছরে ১ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করে আর সে দেশে রপ্তানি করে ২০০ কোটি ডলারের পণ্য। দীর্ঘদিন ধরেই ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে এই আলোচনা চলছিল, ব্যবসায়ীরাও এর দাবি করে আসছেন অনেক দিন ধরে, এবার তা বাস্তব রূপ পেল। এখন ডলারের পাশাপাশি রুপিতেও বাণিজ্য হবে।
অনুষ্ঠানে ঢাকায় নিযুক্ত হাইকমিশনের প্রণয় ভার্মা বলেন, আন্তঃবাণিজ্যে রুপিতে লেনদেনের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে চাপ কিছুটা কমবে। লেনদেনের খরচও কমে আসবে। এই প্রক্রিয়ায় দুই দেশই উপকৃত হবে। একইসঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। এই উদ্যোগের বিষয়ে অনেকেরই অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে আগামীতে একটি উদাহরণ হবে এটি।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আফজাল করিম, ইস্টার্ন ব্যাংকের এমডি আলি রেজা ইফতেখার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মো. সলিমুল্লাহ, বিডার চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিঞা, বাণিজ্যসচিব পতন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বারের সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমেদ ও বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।
অনুষ্ঠান যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক ও ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশন।
প্রথম ধাপে এই যাত্রায় শামিল দুই দেশের চার ব্যাংক। বাংলাদেশের সোনালী ব্যাংক ও ইস্টার্ন ব্যাংক এবং ভারতের স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ও আইসিআইসিআই ব্যাংক উভয় দেশের মধ্যে রুপিতে বাণিজ্য করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যাংক। ক্রমান্বয়ে যুক্ত হবে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও।