দুই যুগে পবিপ্রবি
অপরাজেয় বাংলা ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:২৮ পিএম, ৮ জুলাই ২০২৩ শনিবার
আজ ২৩ পেরিয়ে দুই যুগে পা রাখল বরিশাল বিভাগের প্রথম সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সাবেক মন্ত্রী ও ক্যাবিনেট সচিব মরহুম এম কেরামত আলীর হাতে গড়া পটুয়াখালী কৃষি কলেজের অবকাঠামোতেই যাত্রা শুরু হয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর এ উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির।
বিশ্ববিদ্যালয় ও উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বয়ক কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ড. হারুন-অর-রশীদ হাওলাদারের নেতৃত্বে তৎকালীন কৃষি কলেজের শিক্ষার্থী ও দুমকী উপজেলার জনসাধারণের আন্দোলন, সংগ্রাম ও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০০ সালের ৮ জুলাই এক বর্ষণমুখর দিনে পবিপ্রবির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় দক্ষিণাঞ্চলের জনসাধারণসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন অনুষদ হিসেবে কৃষি নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও সময়ের পরিক্রমায় বর্তমানে আটটি অনুষদের অধীনে ৯টি ডিগ্রি প্রদান করছে পবিপ্রবি।
এ ছাড়া পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজ অনুষদ থেকে ৩৫টি বিষয়ে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। প্রায় ১১০ একর আয়তনের ওপর প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ৪৪১৮ শিক্ষার্থী, ২৫৯ শিক্ষক, ১৮৯ কর্মকর্তা ও ৫২২ কর্মচারী রয়েছে।
এদিকে উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যাচ্ছে পুরো পবিপ্রবি ক্যাম্পাস। ‘পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৪৫১ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে বর্তমান সরকার। এই প্রকল্পের আওতায় ১০ তলাবিশিষ্ট শেখ রাসেল ও শেখ হাসিনা হল, ১০ তলাবিশিষ্ট একাডেমিক ভবন, ছাত্রছাত্রীদের জন্য পৃথক আধুনিক ব্যায়ামাগার, অত্যাধুনিক অডিটরিয়াম, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য পৃথক ১০তলা আবাসিক ভবন, আধুনিক রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টার নির্মাণের কাজ চলছে।
এ ছাড়া পুরাতন হল ও একাডেমিক ভবনের আধুনিকায়ন করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। কাজগুলো বাস্তবায়িত হলে একটি দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
২৩তম পবিপ্রবি দিবস উপলক্ষ্যে যুগান্তরকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য বিশিষ্ট কৃষিবিজ্ঞানী প্রফেসর ড. স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত বলেন, ২৩ বছরে শিক্ষা ও গবেষণায় ব্যাপক সাফল্য থাকলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে এখনো পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে অবিরাম চেষ্টা চলমান আছে।