নূরের বিরুদ্ধে মামলা করবেন রেজা কিবরিয়া
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
প্রকাশিত: ১২:৪৬ এএম, ৩ জুলাই ২০২৩ সোমবার
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার ঘোষণা দিয়েছেন দলের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া। রোববার দুপুরে গুলশানে নিজের বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
রেজা কিবরিয়া বলেন, আমাকে সরানোর জন্য সে (নূর) এত অস্থির হয়ে গেল যে, ভোট ছাড়া সে সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিল। আমাদের যে সংবিধান আছে সেখানে কেন্দ্রীয় কমিটির দুই-তৃতীয়াংশ ভোটে এই কাজটা করা সম্ভব। আহ্বায়ক বা সভাপতি সরাতে ৮১ জনের ভোট প্রয়োজন হয়। এছাড়া ভোটের আগেও তারা কিছু কাজ করেছে। তারা মিথ্যা স্বাক্ষর নিয়েছে। যারা সই করেননি তাদের সই ওখানে রয়েছে। সেজন্য আমরা ভুয়া স্বাক্ষর ও অনিয়মের মধ্যে ভোট গ্রহণের বিষয়ে মামলা করব। নুরুল হক, রাশেদ খান ও শাকিল-উজ জামানের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হবে।
রেজা কিবরিয়া বলেন, তাকে সরানোর জন্য যে ভোট হয়েছে তাতে ৪৮ জনের মধ্যে ৩৬ জন সই করেছেন। বাকিরা সইও করেননি। আর আহ্বায়ককে অপসারণে কেন্দ্রীয় কমিটির ৮১ জনের ভোট দরকার। এটা করা হয়নি। তারপর আগের রাতে ভোট করা হয়েছে।
রেজা কিবরিয়া রোববার রাতেই পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন। তিন সপ্তাহ পরে দেশে ফিরে আসবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমি দেশে ফেরার পর বড় মিটিং করব। বিভিন্ন জেলা থেকে আমাকে ফোন করছে তারা আমাদের সঙ্গে আছে।
এক প্রশ্নের জবাবে রেজা কিবরিয়া বলেন, দলের নেতৃত্ব আমার কাছেই আছে, থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, একটা লোকের জন্য আজকে দলের এই অবস্থা। আমি মনে করি এটা ঠিক হয়ে যাবে। আমাদের দলে অনেক ভালো ভালো লোক আছেন এবং তারা দলটাকে বাঁচাতে পারবে।
নূরকে বিশ্বাসঘাতক বলবেন কিনা জানতে চাইলে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘অফকোর্স সে বিশ্বাসঘাতক। সে একটা প্রতারক এবং দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ।
সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম আহ্বায়ক আমিন আহমেদ আফসারী, আবদুল মালেক ফরাজী, সহকারী সদস্য সচিব শেখ খায়রুল কবির, কেন্দ্রীয় নেতা জিসান মহসিন ও শাহাবুদ্দিন শুভ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে রেজা কিবরিয়ার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নুরুল হক নূর বলেন, ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থার কোনো সদস্যের সঙ্গে আমার কোনো বৈঠক হয়নি, কোনো অর্থ পাইনি। এসব উনার (রেজা কিবরিয়া) মনগড়া কথা।