রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব ছাড়ার পর প্রথমবারের মতো নিজ গ্রামে আবদুল হামিদ, হাওরবাসীর আবেগঘন অভ্যর্থনা!
শাহ্ ইস্কান্দার আলী স্বপন
প্রকাশিত: ১১:২৫ পিএম, ২৭ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার আপডেট: ১১:৩৫ পিএম, ২৭ জুন ২০২৩ মঙ্গলবার
রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্বভারে শেষের পর প্রথমবারের মতো নিজ গ্রাম কিশোরগঞ্জের মিঠামইনের কামালপুর গেছেন এডভোকেট মো. আবদুল হামিদ। সোমবার (২৬ জুন) সন্ধ্যার দিকে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে নৌকায় করে তিনি মিঠাইন আসেন।
সাবেক রাষ্ট্রপতি হাওরের গর্বিত সন্তান এডভোকেট মো. আবদুল হামিদ মিঠামইন ফিরছেন এ খবরে তাকে বরণ করতে রাস্তায় দু’পাশে উপস্থিত হন হাজারো মানুষ। হাওরে নদীপথে শত শত নৌকার বহর, ফুলে ফুলে ভরে যায় ভাটির শার্দূলের ( আবদুল হামিদ) পথ। হাওরের জলরাশি ও তার জন্মভূমির মানুষ তাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন।
বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ সকাল থেকেই আবদুল হামিদকে অভ্যর্থনা ও বরণের জন্য কামালপুর বাড়ির ঘাটে অপেক্ষায় থাকেন। তিনি পৌঁছার পর তাকে বরণে স্বাগতম ধ্বনিতে মুখরিত হয় নিজভূমি কামালপুর গ্রাম।
এ সময় তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশ্যে আবেগতারিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, আপনাদের আবদুল হামিদ আপনাদের মাঝে ফিরে এসেছে। আপনারা আমাকে যা দিয়েছেন, আমি সবার প্রতি কৃতজ্ঞ। আজকেও আপনারা শত শত নৌকা নিয়ে আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এখন আমি নিয়মিত বাড়িতে আসবো, আপনাদের সাথে দেখা হবে, মতবিনিময় হবে। আমার আর কোনকিছুই চাওয়া-পাওয়ার নেই। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন।”
এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের খরমপট্টির বাসভবন থেকে সড়কপথে মিঠামইনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন সদ্য সাবেক রাষ্ট্রপতি। বাসা থেকে বের হয়ে হাওরের প্রবেশপথ করিমগঞ্জের বালিখলা ঘাটে পৌঁছানো পর্যন্ত তাঁকে স্বাগত জানাতে রাস্তায় ফুল নিয়ে অপেক্ষা করেন মানুষ।
এসময় বালিখলা ঘাটে মো. আবদুল হামিদের ছোটবোন মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছিয়া আলম, ভ্রাতুষ্পুত্র মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বৈষ্ণব সহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
মিঠামইন তার নিজ বাড়ি ফেরার পথে তাঁর সাথে ছিলেন, কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য তার বড় ছেলে প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম (বার), কিশোরগঞ্জ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুন্নাহার নেলী ও পরিবারের সদস্যরা।
রাষ্ট্রপতির ছেলে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য প্রকৌশলী রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক বলেন, “আমার পিতা কিশোরগঞ্জের মাটি ও মানুষের নেতা। তিনি তৃণমূলের মানুষকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করেছেন। রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পাওয়ার আগে জেলার বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়িয়েছেন। তৃণমূলের প্রতিটি মানুষের সাথে ওনার আত্মার সম্পর্ক। কিন্তু রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এবং নিরাপত্তা বেষ্টনীর কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও ওইভাবে সবার সাথে আগের মতো মিশতে পারেননি। বর্তমানে তিনি সফলভাবে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন শেষে আবারও আমাদের কাছে ফিরে এসেছেন। সবার ভালবাসায় তিনি মুগ্ধ হয়েছেন।”