অপরাজেয় বাংলা :: Aparajeo Bangla

ব্যবসায়ীরা কারসাজি করলে চামড়া বিদেশে রপ্তানি: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ২৫ জুন ২০২৩ রোববার   আপডেট: ০৩:৪৪ পিএম, ২৫ জুন ২০২৩ রোববার

ট্যানারি মালিক বা ব্যবসায়ীরা চামড়ার দাম নিয়ে যদি কোনো ধরনের হেরফের বা কারসাজি করে, তাহলে কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।  

রোববার (২৫ জুন) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কোরবানির পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণের বৈঠকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

 
রোববার (২৫ জুন) সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত চামড়ার দাম নির্ধারণ ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা বিষয়ক সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ ট্যানারি মালিক, ট্যারিফ কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।  

প্রতি বছর চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। কিন্তু বাজারে এর কোনো প্রতিফলন দেখা যায় না। এই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কী করবে- এমন প্রশ্নে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবারও চামড়া মনিটরিং হবে। তারপরও ট্যানারি মালিকরা যদি কোন‌ো কারসাজি করে, তবে ওয়েট ব্লউ বা কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হবে।  

চামড়ার দাম কমাতে ট্যানারি ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রে নিজেরাই সমস্যা তৈরি করে বাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করেন। তাদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ট্যানারি ব্যবসায়ীরা যদি ইচ্ছা করে দাম কমানোর জন্য গেইম খেলে, তাহলে আমরা কাঁচা চামড়া বিদেশে রপ্তানির অনুমতি দেবো। চিন্তা করার কিছু নেই। আমরা চাই না সেটা হোক।

টিপু মুনশি বলেন, আগেও এটি হয়েছে। কাঁচা চামড়া আমরা রপ্তানি করি। যখনই আমরা রপ্তানির অনুমতি দেই, তখনই দেখা যায় দামের কিছুটা উন্নতি হয়। এ বছরও আমাদের ঘোষণা হলো- কারসাজির মাধ্যমে দাম কম নেওয়া, দেওয়া বা চামড়া না নেওয়ার চেষ্টা করলে আমরা কাঁচা চামড়া রপ্তানির অনুমোদন দেবো।  

খাসির চামড়ার দাম না বাড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এটি ফিক্সড রাখার বিষয়ে আমাদের যে অভিজ্ঞতা, আমরা গত বছর এবং তার আগের বছর দেখেছি, দাম একই রাখার পরও সমস্যা। সেজন্য আমরা দামটা বাড়াতে চাইনি। আর সত্যিকার অর্থে যদি চাহিদা থাকে, আমরা যখন নির্ধারণ করে দেই সেটির যদি ডিমান্ড থাকে, তাহলে তো তার চেয়ে বেশিতে কিনতে কোনো বাধা নেই। এটি নির্ভর করে চাহিদা ও সরবরাহের ওপর। আমরা মিনিমাম দামটা ঠিক করে দিচ্ছি, তারচেয়ে বেশি দাম দিতে বাধা নেই।  

চামড়ার দাম মনিটরিং প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দামটা আসলেই মনিটরিং করা দরকার। একটা মনিটরিং কমিটি আছে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে। সেই মনিটরিং টিম এটি দেখভাল করবে, যাতে করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে চামড়া নিয়ে রাখলে ১০ শতাংশ চামড়াও রক্ষা করা যাবে না। কারণ আমাদের তেমন কোনো সিস্টেম ডেভেলপ করেনি।

লবণের দাম প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, লবণের দামটা যেভাবে বাড়ানো হয়েছে, যৌক্তিক নয়। তবে আমাদের শিল্প মন্ত্রণালয় যেহেতু এটি নিয়ন্ত্রণ করে, কতোটুকু উৎপাদন এবং দাম কতো হওয়া উচিৎ- সেগুলো তারা ভালো বলতে পারবে। আমরা সঠিক দামটা আজ বা কালকের মধ্যে জানতে পারলে আমাদের তরফ থেকে চেষ্টা করতাম সেই দামের মধ্যে রাখার। আমরা চেষ্টা করব দাম যা আছে, কোরবানির সময় যেন তার চেয়ে বৃদ্ধি না করা হয়।